হজম শক্তি বৃদ্ধির সিরাপ ∣ বাচ্চাদের হজম শক্তি বৃদ্ধির সিরাপ

প্রিয় পাঠক আপনারা অনেকেই আমাদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন হজম শক্তি বৃদ্ধির সিরাপ সম্পর্কে বাচ্চাদের হজম শক্তি বৃদ্ধির সিরাপ কি সেটা সম্পর্কে। আপনারা হয়তোবা অনলাইনে অথবা অফলাইনে অনেক খোঁজাখুঁজি করে সঠিক ইনফরমেশন কোথাও পাচ্ছেন না। তাই আপনাদের সুবিধার্থে আমরা আপনাদের জন্য এই পোস্টটি নিয়ে হাজির হয়েছি। এইখানে আমরা আলোচনা করতে চলেছি হজম শক্তি বৃদ্ধির সিরাপ ও বাচ্চাদের হজম শক্তি বৃদ্ধির সিরাপ সম্পর্কে।
হজম শক্তি বৃদ্ধির সিরাপ ও বাচ্চাদের হজম শক্তি বৃদ্ধির সিরাপ
আমাদের এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণটি পরলে আপনি পুরোপুরিভাবে ক্লিয়ার হয়ে যাবেন যে হজম শক্তি বৃদ্ধির সিরাপ কোনটি ও বাচ্চাদের হজম শক্তি বৃদ্ধির সিরাপ গুলো কি কি তার সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর সময় নষ্ট না করে পোস্টটি শুরু করা যাক। পোস্টটি শুরু করার পূর্বে আপনি পোষ্টের টেবিল অফ কন্টেনটি দেখে নিতে পারেন। তাহলে আপনার পোস্টটি করতে অনেক সুবিধা হবে।

হজম শক্তি বৃদ্ধির সিরাপ ও বাচ্চাদের হজম শক্তি বৃদ্ধির সিরাপ সম্পর্কে কিছু কথা

আপনি কি আপনার বাচ্চাদের হজমের সমস্যায় সাহায্য করার জন্য সৃজনশীল উপায় খুঁজছেন? পাচক সিরাপ এই ভেষজটি কয়েক শতাব্দী ধরে হজমে সহায়তা করতে এবং পেটের সমস্যা যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস এবং ফোলাভাব কমাতে ব্যবহার করা হয়েছে। ভেষজ এবং মশলার মিশ্রণ থেকে তৈরি, ডাইজেস্টিভ সিরাপ হল এমন এক সিরাপ যা শিশুদের জন্য একটি মৃদু এবং কার্যকরী সমাধানের মাধ্যমে পেট খারাপ করতে পারে।

এটি লক্ষ্য করা গুরুত্বপূর্ণ যে পাচক সিরাপগুলি সমানভাবে তৈরি করা হয় না, বিশেষত যখন এটি শিশুদের জন্য তৈরি হয়ে আসে। আপনার বাচ্চাদের জন্য একটি পাচক সিরাপ নির্বাচন করার সময়, বাচ্চাদের জন্য প্রণীত একটি সিরাপ নির্বাচন করতে ভুলবেন না। এই সিরাপগুলিতে প্রায়শই হালকা উপাদান এবং হালকা থেরাপিউটিক প্রভাব থাকে, যা অল্পবয়স্কদের জন্য নিরাপদ এবং কার্যকর করে তোলে। আপনার মেডিসিন ক্যাবিনেটে সঠিক পাচক সিরাপ দিয়ে তৈরি, আপনি আপনার সন্তানকে হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এবং অল্প সময়ের মধ্যেই ভালো বোধ করতে সাহায্য করতে পারেন।

লিভারের হজম শক্তি কমে গেলে কি হবে

লিভারের হজম শক্তি কমে গেলে কি হবে তা জানার জন্য অনলাইনে খোঁজাখুজি করে সঠিক ইনফরমেশন পাচ্ছেন না। কিন্তু যদি আপনি আমাদের এই পোস্টটি পড়ে থাকেন তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আপনি এখান থেকে জানতে পারবেন লিভারের হজম শক্তি কমে গেলে কি হবে। প্রথমত যখন খাবার ঠিকভাবে হজম হয় না তখন পেটের ভিতর গড়মিলের সৃষ্টি করতে পারে।

যেমন ধরুন পেট ফুলে যাওয়া, পেটে ব্যথা, পুষ্টির ঘাটতি এবং ম্যালাবশোরপশন হতে পারে, যার ফলে ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য, ওজন পরিবর্তন, পুষ্টির ভারসাম্যহীনতা, অন্ত্রের মাইক্রোবায়োম ব্যাহত হয় এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং ইমিউন ফাংশনকে প্রভাবিত করে। বিভিন্ন ধরনের বিশেষজ্ঞদের মতে এইগুলো খুবই ইমিডিয়েট ইফেক্ট বা প্রভাব হজম প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হলে তাৎক্ষণিকভাবে এগুলো দেখা দেয় এছাড়াও কিছু ইনডিরেক্ট ইফেক্ট থেকে যায়।

হজম প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্থ হওয়ার কারণেই ওজন বৃদ্ধি পেয়ে থাকে স্থলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সমস্যা হতে পারে এছাড়াও অনেক সময় খাবারের মাধ্যমেও শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি না পাওয়ার মত সমস্যাও দেখা দিতে পারে। 

বিভিন্ন জ্ঞানীগুণী ও পুষ্টিবিদদের মতে হজম প্রক্রিয়া গর্ভবতী মা ও শিশুদের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা ভূমিকা পালন করে। তার কারণ হচ্ছে হজম প্রক্রিয়ার স্বাভাবিক না থাকলে পর্যাপ্ত পুষ্টি পাওয়া মিষ্টি হয় না। এর ফলে গর্ভজাত শিশুর বিকাশে বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন।

পেটে হজম শক্তি বৃদ্ধির উপায়

পেটের হজম শক্তি বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে বলতে গেলে আমাদের এই পোস্টটিতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরব। সম্পূর্ণ পোস্টটি ধৈর্য সহকারে পড়ার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন পেটের হজম শক্তির উপায় গুলো কি কি। সাধারণত আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধির জন্য আপনি বেশ কিছু কৌশল অবলম্বন করতে পারেন সেই কৌশল গুলো নিচে দেওয়া হল।

  • এক গ্লাস পানি দিয়ে আপনার দিন শুরু করুন। এটি হজম প্রক্রিয়া বাড়ায় এবং ডিহাইড্রেশনের সম্ভাবনা কমাতে পারে।
  • প্রিবায়োটিক গ্রহণ করুন। এটি অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়া বাড়ায়৷ আপেল, আর্টিচোক, কলা, বার্লি, ওটস, চিয়া এবং শণের বীজ, রসুন এবং পেঁয়াজ,মূল সমেত শাকসবজি, মটরশুটি এবং ডালের মতো খাবারে প্রিবায়োটিক পাওয়া যায়৷
  • উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার হজমের জন্য প্রয়োজনীয়৷ হজম প্রক্রিয়া বাড়াতে আপনার খাদ্যতালিকায় শাকসবজি এবং ফল, বাদাম এবং বীজ অন্তর্ভুক্ত করুন।
  • হজম শক্তি বাড়াতে ব্যায়াম করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি বিপাকীয় প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে৷ ভালো মেটাবলিজম মানে ভালো হজমও।
  • সর্বদা ধ্যান বা মেডিটেশনের মধ্যে দিয়ে আপনার দিন শুরু করার চেষ্টা করুন। এটি মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করবে, কারণ মানসিক চাপ অন্ত্রকে দুর্বল করে।
  • চিনি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন। প্রক্রিয়াজাত সুগার অন্ত্রের মাইক্রোবায়োটাকে বিরক্ত করতে পারে। এতে পাকস্থলীতে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কমতে পারে৷

হজম শক্তি বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায়

একেক জনের মেটাবলিজিম বা হজমশক্তি একেক রকম হয়। অনেক সময় দেখা যায় যে একই
রকম খাবার খেয়েও একজন মোটা হয় কিন্তু আরেক জন হয় না। যারা হোস্টেলে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে এ ধরণের সমস্যা দেখা যায় বলে জানান পুষ্টিবিদরা।

১. পর্যবেক্ষণ:

প্রথমেই যেটি করতে হবে সেটি হচ্ছে, এক জন ব্যক্তির কোন খাবার খেলে সমস্যা হচ্ছে সেটি খেয়াল করতে হবে। পুষ্টিবিদ ডা. তাসনিম হাসিন পাপিয়া জানান, আমাদের দেশে বেশিরভাগ মানুষ বোঝেই না যে কোন খাবারে তাদের সমস্যা হচ্ছে। এজন্য তারা ধীরে ধীরে প্রায় সব ধরণের খাবার বাদ দিতে থাকে। যেমন, তেলে ভাজা খাবার, দুধ বা দগ্ধজাতীয় খাবার, টক খাবার ইত্যাদি।

যেমন অনেকের ল্যাকটো বা দুধ হজম করতে সমস্যা হয়। সেক্ষেত্রে দুধ বা দুগ্ধ জাতীয় খাবার একেবারে বাদ না দিয়ে ধীরে ধীরে সেটার সহ্য ক্ষমতা বাড়াতে হবে। কারণ দুধ হজমে দরকারি ল্যাকটেজ নামে এক ধরণের এনজাইম শরীরে নিঃসরণ বন্ধ হয়ে গেলেও তা আবার নিঃসরণ শুরু করা সম্ভব। আর এ জন্যই কোন খাবারে হজম প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয় বা সমস্যা হয় সেটি জানাটা জরুরী।

এছাড়া অনেক সময় নির্দিষ্ট কিছু ভিটামিনের অভাবেও হজমশক্তি দুর্বল হয়ে থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা নিলে তা শক্তিশালী করা সম্ভব। হজমশক্তি বাড়ানোর প্রক্রিয়া বা একে শক্তিশালী করার প্রক্রিয়া সবার জন্য এক রকম হয় না। ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হয়। সেক্ষেত্রে দেখতে হবে যে কার কোন খাবারের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে।

২. শারীরিক ব্যায়াম:

সব ধরণের শারীরিক ব্যায়াম হজমশক্তিকে বাড়ায় না বলে মনে করেন পুষ্টিবিদরা। মেটাবলিজম বা হজমশক্তির সাথে সংশ্লিষ্ট অঙ্গ মানুষের কোমরের দিকটায় বা ডায়াফ্রামের উপর থেকে শুরু করে নিচ পর্যন্ত থাকে বলে জানান তারা। তাদের মতে, যেসব ব্যায়াম শরীরের মাঝের অংশের কর্মকাণ্ড যত ভাল হবে হজম প্রক্রিয়া তত সুন্দর হবে।

শরীরের মাঝের অংশের কর্মকাণ্ড বাড়াতে হলে বিশেষ ধরণের কিছু ব্যায়াম করতে হবে। যেমন, চেয়ারে বসার ক্ষেত্রে রিভলভিং চেয়ার ব্যবহার করলে শরীরের নড়াচড়া সহজ হয়। একই সাথে বসার ক্ষেত্রে যদি টুইস্টিং পদ্ধতি অর্থাৎ শরীরের উপরের অংশ একদিকে এবং নিচের অংশ আরেক দিকে থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে হজম প্রক্রিয়া ভাল হয়।

এছাড়া কিছু ব্যায়াম করা যায়। যেমন, শুয়ে ৯০ ডিগ্রি এ্যাঙ্গেলে দুই পা উঁচু করে রাখতে হবে এবং পা দুটি চক্রাকারে অর্থাৎ বাম থেকে ডানে এবং ডান থেকে বামে ঘোরাতে হবে। এটা খুব ভাল কাজ
করে। স্পট জগিং বা একই জায়গায় দাঁড়িয়ে যদি জগিং করা যায় বা হালকা করে লাফানো-এ ধরণের ব্যায়ামও খুব উপকারী।

৩. খাবার:

হজমশক্তি সবল করতে হলে খাবারের প্রকারটা বুঝতে হবে। যেমন খাবারে যদি শাক থাকে তাহলে সেটি অবশ্যই তেল দিয়ে রান্না করতে হবে। আবার মাংস জাতীয় কিছু খেলে সাথে যাতে লেবু থাকে সেটি খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়া প্রতিবার খাওয়া শেষ করে অল্প পরিমাণ লেবু-পানি খেলে সেটি হজমের ক্ষেত্রে খুব ভাল কাজ করে। এছাড়া খাবার খাওয়া শুরু করার আগে জিহ্বাতে অল্প একটু লবণ স্পর্শ করিয়ে খাবার খেলে সেটিও হজমে সাহায্য করে।

এছাড়া গাট ব্যাকটেরিয়া যা হজম প্রক্রিয়াকে দ্রুততর করে সেগুলো বেশি খাওয়া যেতে পারে। প্রাকৃতিক ভাবে এই ব্যাকটেরিয়ার সবচেয়ে ভাল উৎস হচ্ছে দই।

ডা. তাসনিম হাসিন পাপিয়া বলেন, "যাদের হজমে সমস্যা হয় তাদের জন্য ইয়োগার্ট থেরাপি বা দই খাওয়াটা উপকারী হতে পারে।"

তিনি বলেন, দিনের কোন একটা সময় দেড়শ থেকে দুইশ এমএল দই খাওয়া যেতে পারে।

৪. পর্যাপ্ত ঘুম:

রাত জেগে থাকাটা হজমের ক্ষেত্রে মারাত্মক প্রভাব সৃষ্টি করে বলে জানান পুষ্টিবিদরা। পুষ্টিবিদ সৈয়দা শারমিন আক্তার বলেন, রাতের বেলা এমনিতেই পরিবেশে অক্সিজেনের পরিমাণ কম থাকে। সেই সাথে রাতের বেলা ফুসফুসের বেশিরভাগ অংশ অব্যবহৃত থাকে।

যার কারণে পুরোপুরি শ্বাস নেয়া সম্ভব হয় না। আর জেগে থাকলে মানুষের সব ইন্দ্রিয় কাজ করে বলে শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি তৈরি হয় যা হজম প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করে। এ কারণেই হজমশক্তিকে বাড়াতে হলে বা একে বেশি কর্মক্ষম করতে হলে রাতে ঘুমানো জরুরী বলে মনে করেন তিনি।

৫. শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম:

পুষ্টিবিদ সৈয়দা শারমিন আক্তার বলেন, শারীরিক বিভিন্ন ক্রিয়া কতটা ভালভাবে কাজ করবে তা অনেকটাই নির্ভর করে যে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেনের সরবরাহ আছে কিনা। আর হজম বা শোষণ প্রক্রিয়ার জন্যও অক্সিজেনের বিকল্প নেই। সে কারণেই শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করাটা জরুরী বলে মনে করেন এই পুষ্টিবিদ। তিনি বলেন, নাক দিয়ে লম্বা করে শ্বাস নিয়ে মুখ দিয়ে লম্বা করে শ্বাস ছাড়লে দেহে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়ে। যাতে হজম সহজ হয়।

কি খেলে খাবার তাড়াতাড়ি হজম হয়

যে কোনও সিড বা বীজ, যেমন কুমড়োর বীজ, সূর্যমুখীর বীজ বা সেসামি সিড হজম করতে ৬০ মিনিট সময় লাগে। আমন্ড হোক বা কাজু, যে কোনও ধরনের বাদাম হজমে সময় নেয় ১২০ মিনিট।
লেটুস, শশা, টমেটোর মতো সবজি, যেগুলোতে পানির পরিমাণ বেশি, সেগুলো হজমে ৩০-৪০ মিনিট সময় নেয়।

এছাড়া, রুট ভেজিটেবল অর্থাৎ গাছের শিকড় বা মূলযুক্ত সবজি হজম করতে ৫০-৬০ মিনিট সময় লাগে। মসুর বা মুগের মতো সব রকম ডাল খাবার হজম করতে ৪০-৫০ মিনিট সময় লাগে। দুগ্ধজাত পণ্য যেমন দই, দুধ, ছানা অথবা পনির ইত্যাদি হজম করতে সময় লেগে যায় ৬০-৯০ মিনিট।

একটি ডিম হজম করতে সময় নেয় ৪৫ মিনিট। তাই খাওয়ার সময় হিসেব করে খেলে আপনার হজমের সমস্যা থাকবে না। যে কোনও জুস খুব তাড়াতাড়ি হজম হয়। কারণ জুসে অনেক কম ফাইবার থাকে। মাত্র ১৫ মিনিটেই হজম হয়ে
যায়।

ফাইবার-যুক্ত ফল যেমন আপেল, নাশপাতি হজম হয় ৪০ মিনিটে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল ৩০ মিনিট সময় নেয়। তরমুজ খুব তাড়াতাড়ি, ২৫-৩০ মিনিটে হজম হয়। চশমা চোখে লাগা মানেই চোখ নষ্ট হয়ে গেছে এমন নয়। যদিও আমাদের মনে এমন ভুল ধারণা আছে। আমাদের চোখে নানাভাবে ক্ষতি হতে পারে। চোখ ভালো রাখতে নিয়মিত চশমা পরা, নির্দিষ্ট সময় অন্তর চোখের চিকিৎসা করানোর পাশাপাশি, রোজ পুষ্টিকর কিছু খাবার খাওয়াও জরুরি।

• চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের জুড়ি মেলা ভার। শরীরের প্রয়োজনীয় ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মেলে বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ থেকে। ভারতেও এখন পাওয়া যায় সার্ডিন, স্যামন কিংবা টুনা মাছ। এই ধরনের মাছের তেল চোখের জন্য খুবই
উপকারী।

• চোখের যত্নে অত্যন্ত কার্যকর গাজর। গাজরের বিটা-ক্যারোটিন বা ভিটামিন এ চোখের জন্য খুবই জরুরি। নিয়মিত গাজর খেলে চোখে সংক্রমণের আশঙ্কাও কমে। ভিটামিন এ চোখের মণির যত্ন নেয়।

• ভিটামিন এ পাওয়া যায় ডিমেও। পাশাপাশি ডিমে পাওয়া যায় জিঙ্ক ও লুটিন। জিঙ্ক চোখের সাদা অংশ ভালো রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে ডিমের কুসুম রোজ খেলে ভালো থাকে চোখ।

• চোখের স্বাস্থ্যের জন্য দরকার ভিটামিন সিও। আর ভিটামিন সি-র সবচেয়ে ভালো উৎস লেবু।

• দুধ কিংবা দুগ্ধজাত যে কোনো খাবারই চোখের যত্নে কাজে লাগে। দুধ এবং দইয়েও রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ এবং জিঙ্ক। দু'টি উপাদানই চোখের যত্নে জরুরি। যারা গরুর দুধ খেতে পারেন না, তারা কাঠবাদাম থেকে পাওয়া দুধও খেতে পারেন। তাতেও ভালো থাকে চোখ।

হামদর্দ হজমের ঔষধ

আপনার খাবারের শুরুতে ঘন্টার পরিপূরক গ্রহণ করা সর্বদা ভাল, এটি নিশ্চিত করা যে খাবারের হজমের সময় সেগুলি একত্রিত হয় এবং খাবারের মধ্যে খালি পেটে অতিরিক্ত উত্তেজক/ বিরক্ত না হয়।
বেশির ভাগ সম্পূরকের সাথে-যদি না ভিন্নভাবে পরামর্শ দেওয়া হয়, সর্বদা, সর্বদা সর্বোত্তম জৈব উপযোগিতা এবং সর্বোত্তম প্রভাবের জন্য একটি জলখাবার বা খাবারের সাথে নিন।

অনুগ্রহ করে মনে রাখবেন, পরিপূরকগুলি প্রভাব দেখাতে 3 মাস/12 সপ্তাহ সময় নিতে পারে এবং সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যকর বৈচিত্র্যময় খাদ্যের প্রয়োজন হয় না।

আমি নিম্নলিখিত যোগ করি কারণ এটি এই সপ্তাহে আমাকে জিজ্ঞাসা করা 64টি অন্যান্য প্রশ্নও কভার
করে।

পরিবর্তনটি সামগ্রিক হতে হবে এবং নিজের জন্য একটি নতুন জীবনযাপন করতে হবে নতুবা আপনি ছেড়ে দেবেন। প্রস্থান করুন, ব্যর্থ হবেন না - মন শরীর এবং আত্মা, এছাড়াও একটি সুস্থ মন শরীর এবং জীবনধারার প্রতি প্রতিশ্রুতি আপনার প্রয়োজন। আপনি ইতিমধ্যে জানেন কিভাবে বাকি করতে, শরীর জানে শরীর কি চায়।

যত্ন নিন, ড্রেন রুট নিচে সম্পূরক টাকা জন্য পড়া না. আপনি যদি সাধারণভাবে সুস্থ বোধ করেন। কিছু পরিপূরক বিষাক্ত মাত্রা পর্যন্ত তৈরি করে তাই জীবনের বড় কোনো পরিবর্তনের আগে একজন চিকিৎসকের সাথে কথা বলুন।

আপনি একটি বুস্ট প্রয়োজন একটি আছে কিন্তু আপনার শরীরের চিন্তা! বছরে কয়েকবার হ্যাঁ এটির জন্য যান। প্রতিদিন নয়।

প্রতি সপ্তাহে নয়।

100% সব সময় আপনার গাড়ী চালানোর কল্পনা করুন. প্রতিদিন, প্রতিটি ড্রাইভ। গাড়িটি পুড়ে অকেজো হয়ে যেত। আপনার শরীর একই। আপনি যদি বিশ্রাম ছাড়াই প্রতিদিন আপনার শরীরকে সর্বোচ্চ দক্ষতায় চালানোর চেষ্টা করেন তবে আপনি শেষ হয়ে যাবেন যা সাধারণত অ্যাড্রিনাল ক্লান্তি নামে পরিচিত।

সংক্ষেপে, আপনার নিজের শরীর অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে অ্যাড্রেনালিন নিঃসৃত হওয়াতে সাড়া দেওয়া বন্ধ করে দেয়, আপনার শরীর ওহ আরও অ্যাড্রেনালিনের প্রতি এতটাই বিরক্ত হয়ে যায় যে এটি সাড়া দেওয়া বন্ধ করে দেয় কিন্তু রাইডকে আরাম করতে অক্ষম আপনাকে স্ট্যান্ডবাইতে রাখে। ইনসুলিন প্রতিরোধের সাথে টাইপ 2 ডায়াবেটিসের অনুরূপ।

গ্রন্থিগুলি এতটাই উদ্দীপিত হয়ে উঠেছে যে শরীর বেঁচে থাকার মোডে থাকে সময়ের সাথে সাথে দুর্বল হয়ে পড়ে। এবং দ্রুত সময়, একটি দীর্ঘ সময় না.

এটি পুনরুদ্ধার করতে কোন পরিপূরক, তরল এবং বিশ্রামের কয়েক মাস সময় লাগে। যত্ন নিন, আপনার শরীরের যত্ন নিন। আমি আশা করি আপনি যে প্রভাবটি চান তা অর্জন করবেন।

হামদর্দ ঔষধের মূল তিনটি ডিভিশন রয়েছে যেমন: ইউনানী, হারবাল ও ফুড ডিভিশন। হামদর্দ এর ঔষধসমূহের মধ্যে ইউনানী ডিভিশন খুবই কার্যকর। ঔষধি গাছগাছালি ও ফলমূল থেকে তৈরি ইউনানী চিকিৎসার মূল উপকরন হিসাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। হামদর্দের বিভিন্ন পণ্যের মধ্যে সিনকারা, ছাফি, ফ্রোডেক্স, লিবিডেক্স, এনডিউরেক্স, শরবত রূহ আফজা বেশ সুনাম কুড়িয়েছে। হামদর্দ এর ব্র্যান্ড প্রোডাক্ট প্রায় ১৫০ টির উপরে। সাধারণ ও জটিল প্রায় সকল রোগসমূহের চিকিৎসা হামদর্দে রয়েছে। হামদর্দের ওষুধগুলি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিপণন করা হয়। কোম্পানিটি তার ভেষজ ওষুধের উচ্চমান এবং প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারের জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত। চলুন দেখে নেওয়া যাক হামদর্দ এর ঔষধ তালিকা এবং এর বিভিন্ন ডিভিশনগুলোর কোন ওষুধ কোন কাজে লাগে।

হামদর্দ এর ঔষধসমূহের মধ্যে ইউনানী ডিভিশন খুবই কার্যকর একটি ঔষধ বিভাগ। ঔষধি গাছগাছালি ও ফলমূল থেকে তৈরি হয় ইউনানী যা চিকিৎসার মূল উপকরন হিসাবে গণ্য। নিচে সংক্ষেপে বর্ণনা করা হলো।

১। ক্যাপসুল এজারড

এই প্রাকৃতিক ফর্মূলার ঔষধটি পেট ফাপা ও হজমের দূর্বলতা নিরাময়ে কার্যকরী একটি ঔষধ হিসাবে কাজ করে থাকে।

২। ট্যাবলেট আলিসা

ট্যাবলেট আলিসা মূলত নিরোগ ও দীর্ঘ জীবনের জন্য এক অনন্য ইউনানী ঔষধ হিসাবে পরিচিত।

৩। সিরাপ এ্যালকুলী

এটি মূলত প্রতিবন্ধকতা অপসারক ও জ্বর নিবারক ঔষধ হিসাবে কাজ করে।

৪। সিরাপ এ্যালভাসিন

সিরাপ এ্যালভাসিন শুকনা কাশি নিবারনে কার্যকরী একটি ঔষধ। যাদের শুকনা কাশির সমস্যা আছে তারা এই ঔষধটি ব্যবহার করতে পারেন। অনেক উপকারে আসবে আপনার।

৫। সিরাপ এন্টিলিগো

শ্বেতী রোগ নিরাময়ে অত্যন্ত কার্যকরী একটি ঔষধ হলো সিরাপ এন্টিলিগো।

৬। সিরাপ এপেলিন

সিরাপ এপেলিন প্রধান অঙ্গসমূহের শক্তি বর্ধক ও ক্ষুধা বর্ধক হিসাবে কাজ করে থাকে। যাদের ক্ষুধা মন্দা আছে তারা চাইলে সিরাপ এপেলিন খেতে পারেন।

৭। আরক আজওয়াইন

আরক আজওয়াইন হজম ও বায়ু নাশকে কার্যকরী। যাদের খাওয়ার পর হজমে সমস্যা হয় তারা ঔষধটি খেতে পারেন।

৮। আরাক বাদিয়ান

বায়ূ নাশক ও ক্ষুধা বর্ধক। এই ঔষধটি ক্ষুধা বর্ধক হিসাবে কাজ করে থাকে। যাদের ক্ষুধা সৃষ্টি হয় না তারা এই ঔষধটি খেতে পারেন।

৯। আরক ফওলিন

আরক ফওলিন রক্ত স্বল্পতার চিকিৎসার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী একটি ঔষধ হিসাবে কাজ করে থাকে।

১০। আরক গওযনান

আরক গওষনান হৃদকম্পন দূর করে থাকে।

হজম শক্তি বৃদ্ধির সিরাপ ও বাচ্চাদের হজম শক্তি বৃদ্ধির সিরাপ সম্পর্কে শেষ কিছু মন্তব্য

প্রিয় পাঠক আপনারা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছেন হজম শক্তি বৃদ্ধির সিরাপ ও বাচ্চাদের rহজম শক্তি বৃদ্ধির শিরক সিরাপ সম্পর্কে বিস্তারিত
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url