কিভাবে উইন্ডোজ 11 এর গতি বাড়ানো যায় এবং পারফরম্যান্সের উন্নতি করা যায়

অবশেষে উইন্ডোজ ১১ সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য প্রকাশ করা হয়েছে এবং বেশ কয়েকটি নতুন বৈশিষ্ট্য নিয়ে আনা হয়েছে। আপনি সহজেই স্টার্ট মেনু কাস্টমাইজ করতে পারবেন বা টাস্ক বারের চেহারা চেঞ্জ করতে পারবেন। এখানে নতুন UI এবং আরও অনেক কিছু রয়েছে। মাইক্রোসফট মেমোরি ম্যানেজমেন্ট, ডিস্ক ব্যবহার, অ্যাপ অগ্রাধিকার, CPU এবং ব্যাটারি কর্মক্ষমতা সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয়গুলির উন্নতি করেছে। 

কিন্তু সবগুলোর ক্ষেত্রে নাও হতে পারে পুরনো ল্যাপটপে নতুন উইন্ডোজ ভার্সন। সুতরাং উইন্ডোজ এলিভেন অপটিমাইজ করার প্রয়োজন আছে। এই লেখার মধ্যে যেমন আমরা বিস্তারিত বর্ণনা করেছি কিভাবে উইন্ডোজ ১১ এর গতি বাড়ানো যায় আমরা আপনার জন্য আরেকটি টিউটোরিয়াল নিয়ে এসেছি এবং গতানুগতিকভাবে পারফরম্যান্সের উন্নতি করবে।তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাককিভাবে উইন্ডোজ 11 এর গতি বাড়ানো যায় এবং পারফরম্যান্সের উন্নতি করা যায়

কিভাবে উইন্ডোজ 11 এর গতি বাড়ানো যায় এবং পারফরম্যান্সের উন্নতি করা যায় (২০২৩) 

আমাদের কাছে অনেকগুলো অপশন আছে যা আপনি আপনার ডিভাইসে উইন্ডোজ ১১ কে দ্রুততর করার চেষ্টা করতে পারেন। আপনি সূচিপত্র থেকে আরও জানতে নিজের টেবিলের যে কোন বিভাগে ক্লিক করুন।

সুচিপত্রঃ কিভাবে উইন্ডোজ 11 এর গতি বাড়ানো যায় এবং পারফরম্যান্সের উন্নতি করা যায়

কিভাবে উইন্ডোজ 11 এর গতি বাড়ানো যায় এবং পারফরম্যান্সের উন্নতি করা যায়

রিস্টার্ট আপডেট

কিভাবে উইন্ডোজ 11 এর গতি বাড়ানো যায় এবং পারফরম্যান্সের উন্নতি করা যায় এটি করার সবচেয়ে সহজ এবং এটি সেই জিনিসগুলি মধ্যে একটি যা সাহায্য করতে পারে।
সেটিংস মেনুতে গিয়ে কোন নতুন আপডেট চেক করুন > উইন্ডোজ আপডেট<  আপডেটের জন্য অনুসন্ধান করুন। যদি সেখানে নতুন কিছু আপডেট পান তাহলে আপডেট করে তারপরে রিস্টার্ট দিবেন।

যদি সিস্টেম আপটুডেট থাকে তাহলে এটার রিস্টার্ট দেওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। কোন কোন সময় আপনার কম্পিউটার অন অফ এর সময় স্লো হতে পারে। আরো একটা বিষয় এটা একটা অস্থায়ী সমাধান এবং কিছু সমস্যাগুলো থেকে বিরত থাকার জন্য আপনার আরো কিছু সেটিংস দেখা প্রয়োজন। 

স্টার্টআপ প্রোগ্রাম/অ্যাপস ডিজেবল করুন

কিভাবে উইন্ডোজ 11 এর গতি বাড়ানো যায় এবং পারফরম্যান্সের উন্নতি করা যায় তার জন্য  উইন্ডোজ ১১ এ বুট টাইম গতি বাড়ানোর জন্য স্টার্টআপ প্রোগ্রাম গুলি ডিজেবল করে শুরু করতে পারেন। এই প্রোগ্রামগুলো সাধারণভাবে শুরু হয় যখন আপনি আপনার কম্পিউটার ওপেন করবেন। কিভাবে সেগুলো ডিজেবল করবেন নিচে দেওয়া হলঃ

  • স্টার্ট মেনুতে ট্যাব করে টাচ ম্যানেজার সিলেক্ট করুন অথবা কিবোর্ড শর্টকাট থেকেও করতে পারেন সেটি হল কন্ট্রোল+ সিফট+ ইএসসি (Esc) 
  • টাস্ক ম্যানেজার 12 ওপেন হইলে মোর ডিটেলস বাটনে ক্লিক করুন
  • এখন স্টার্টআপ অপশন থেকে আপনি ওই প্রোগ্রাম ফাইল গুলো দেখে ডিজেবল করে নিতে পারবেন
  • আপনার পছন্দ মত প্রোগ্রাম ফাইলটির উপরে রাইট ক্লিক করে ডিজেবল অপশনে ক্লিক করেন
  • সেখানে অনেক ধরনের স্টার্টআপ অপশন পাবেন যেমন মাইক্রোসফট টিম ওয়ান ড্রাইভ স্কাইপ যা স্টার্টআপের সময় সংস্থান গুলি অটোমেটিক অন হয়ে যেতে পারে এটি কিভাবে ঠিক করবেন তাই এখানে দেয়া হলোঃ 
  • বাটন ক্লিক করে সেটিং স অপশনে যান। এছাড়া আপনি শর্টকাট কির মাধ্যমে যেতে পারেন যেমন windows + i তাহলে ডিরেক্টলি সেটিংস অন হয়ে যাবে।
  • তারপরে বিকল্প অ্যাপস গুলো সিলেক্ট করুন এবং স্টার্টআপ এ ক্লিক করুন।
  • তারপরে সবগুলা অ্যাপ অফ করে দিন যেগুলা আপনি স্টার্টআপের পরে চালাতে চান না।  এটা খুবই সহজ।
  • সময়ের সাথে সাথে আপনি যত অ্যাপ ইন্সটল করবেন এই তালিকায় অ্যাপস গুলো বাড়তেই থাকবে সুতরাং মনে রাখবেন যে কোন অবাঞ্ছিত অ্যাপস স্টার্টআপ এ লঞ্চ হলে আপনার উইন্ডোজ ১১ দীর্ঘ গতিতে কাজ করবে। 

ডেবলট উইন্ডোজ ১১

উইন্ডোজ ১১ এর পারফরমেন্সের উন্নত করতে ডেব্লট আরো একটি বিকল্প যা আপনি চেষ্টা করে দেখতে পারেন। আমি বিস্তারিত এটা সম্পর্কে আগেই লিখে ফেলেছি তাই আপনি চাইলে ফলো করতে পারেন অ্যাপস গুলো ডিজেবল করতে আনইন্সটলিং আনেসেসারি প্যাকেজ এবং এপস যেমন অন ড্রাইভ থেকে মুছে ফেলার কাজ এটা কাজ করবে শুধুমাত্র এক লীগের মধ্যেই। এটার মধ্যে আপনি আপনার প্রাইভেসি সেটিংস এবং সবকিছু অফ করে দিতে পারবেন যেগুলোর মধ্যে ব্যাকগ্রাউন্ডের সিস্টেম রিসোর্স গুলা খেয়ে থাকে। 

পাওয়ার মোড পরিবর্তন

আপনি যদি উইন্ডোজ ১১ এর সেরা পারফরম্যান্স চান তাহলে ব্যাটারি লাইফ নিয়ে চিন্তা করা যাবে না।তাহলে আপনি windows ১১ পাওয়ার প্লান্ট চেঞ্জ করতে পারবেন। সঠিক সেটিংস এর মাধ্যমে এটা উইন্ডোজ ১১ কে অপটিমাইজ করবে যদিও আপনি বেস্ট পারফরম্যান্স মেশিন ব্যবহার করছেন।আমরা একটা টিউটোরিয়াল লিখেছি কিভাবে পাওয়ার মোট চেঞ্জ করবেন উইন্ডোজ ১১ তে। আপনি এখান থেকে সেটা অনুসরণ করতে পারবেন। আপনি উইন্ডোজ ১১ সেটিং সম্পর্কে আরো খুঁজতে হলে এখন আপনাকে দেবে খুব ভালো অভিজ্ঞতা আমাদের লিঙ্ক করা আর্টিকেলগুলোর মধ্যে পাবেন। 

ডিফ্রাগমেন্ট হার্ডডিস্ক

সময়ের সাথে সাথে হার্ড ডিক্সের ফাইল গুলি ছড়িয়ে ছিটিয়ে যেতে পারে এবং এটি আপনার সিস্টেমের কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে। এইটার সমাধানের জন্য আপনি ডিফ্রেগমেন্ট হার্ডডিস্ক ভায়া দা ডিফ্রাগমেন্ট টুথ থেকে করতে পারেন। 

মনে রাখবেন আপনি যদি এসএসডি ব্যবহার করে থাকেন তাহলে ডি ফ্রেগমেন্টেশন এর প্রয়োজন নেই। 

Windows বাটনে ক্লিক করে ডিপ্রেগন্যান্ট এন্ড অপটিমাইজ ড্রাই অপশনে ক্লিক করুন। তারপরে যে ড্রাইভটি আপনি ডিফ্র্যাক্ট করবেন সে ড্রাইভিং সিলে ক্ট করুন তারপর অপটিমাইজ বাটনে ক্লিক করুন কমপ্লিট করার জন্য। 

উইন্ডোজ ১১ তে অতিরিক্ত মেমোরি যুক্ত করা (‌ র‍্যাম, এস এস ডি আপডেট ) 

একটি কম্পিউটারের র‍্যাম বাড়ানো তার কর্ম ক্ষমতা উন্নত করতে এবং এটিকে গতি বৃদ্ধি করতে করতে সাহায্য করে। আপনি চাইলে পিসিতেও এসএসডি কার্ড ব্যবহার করতে পারেন আর ড্রাইভ হিসাবে।বিশ্বাস করেন, এখানে পারফরমেন্সের পার্থক্য দিনরাত। আমি এসএসডি কার্ড ব্যবহার করছি থার্ড জেনারেশন ইল ইন্টেল কোর আই থ্রি প্রসেসরের সাথে উইন্ডোজ ১১ খুব সুন্দর ভাবে রান হচ্ছে। এটার সাথে ৫৪০০ আরপিএম হার্ড ড্রাইভ আর রাইটিং এর জন্য স্পিড পাওয়া যায় ১০০ এমবিপিএস তারপরে সাট্টা এস এস ডি হার্ডডিক্স লাগানোর পরে ৫০০ এমবিপিএস স্পিড হয়ে গেছে। এইটার কারণে ৫ গুন উপরে উঠে গিয়েছে এটার অভিজ্ঞতা। বুট টাইম অ্যাপস ওপেনিং এবং সব মিলায়ে খুব ভালো। 

যদি আপনি পুরনো ডেস্কটপ অথবা ল্যাপটপ ব্যবহার করে থাকেন তাহলে এই এসএসডি কার্ড কিনে ব্যবহার করে দেখতে পারেন তাহলে উইন্ডোজ ১১ আপনার কম্পিউটারে খুব ফাস্ট হবে এবং এটার সফটওয়্যার অপটিমাইজেশনও অনেক দ্রুত হবে। আমি এখানে উপদেশ দিব যে আপনি এইস এইস ডি ব্যবহার করেন।

রিস্টার্টেবল অ্যাপস ডিজেবল করুন 

আপনার অভিজ্ঞতাকে আরো দ্রুত এবং মসৃণ করতে উইন্ডোজ ১১ আপনার পিসিতে সাইন ইন করার পরে কিছু ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপস রিস্টার্ট করে। আপনার যদি একটি শক্তিশালী পিসি থাকে তবে এটি একটি ভালো বৈশিষ্ট্য হতে পারে। কিন্তু পুরনো কম্পিউটার ডিজেবল করার জন্য এটি আপনাকে উইন্ডোজ ১১ এর গতি বাড়াতে সাহায্য করবে। 

সেটিংস ওপেন করে অ্যাকাউন্ট সেকশনে যাওয়ার পরে শাইনিং অপশনে যাবেন
এখন অটোমেটিক্যালি রিস্টার্টেবল অ্যাপস টা সেভ হয়ে যাবে যখন আমি সাইন ইন ব্যাক করব এবং এইটা সম্পূর্ণ।

অনাকাঙ্ক্ষিত সফটওয়্যার/ব্লেড ওয়ার আনইন্সটল 

মুছে ফেলা ফাইল গুলো উইন্ডোজ ১১ ফাস্ট করতে সাহায্য করবে এবং এটার সাথে কিছু দিকনির্দেশনা আছে সেটা নিচে দেওয়া হল
উইন্ডোজ আইকনে ট্যাব করে সেটিং অপশনে যান তারপরে অ্যাপস এন্ড ফিউচার লিখে সার্চ করুন এছাড়াও আপনি উইন্ডোজ আইকনের উপরে রাইট ক্লিক করে এপ্স এন্ড ফিচার অপশনেও যেতে পারেন।

এখন আপনি অ্যাপগুলোর তালিকা খুঁজে পাবেন এবং তিন বিন্দুযুক্ত মেনুতে ট্যাব করে এবং আনইন্সটল বিকল্পটি নির্বাচন করে অবাঞ্চিত গুলি সরিয়ে ফেলবেন। 

টেম্পোরারি ফাইলস মোছা

আরো একটি জিনিস যা আপনি করতে পারেন তা হল স্থায়ী ফাইলগুলো সরানো। এই ফাইল গুলি পিসি বা ল্যাপটপের সংরক্ষণ করা হয় যখন অ্যাপ্লিকেশন গুলো মসৃণ কার্যকারিতার জন্য কাজগুলো সম্পাদন করা হয়। যাইহোক এই ফাইল গুলি খুব প্রয়োজনীয় নয় তবুও অনেক জায়গায় দখল করতে পারে। উইন্ডোজ ১১ এর ভালো পারফরমেন্সের জন্য আপনি এই ফাইলগুলো মুছে ফেলতে পারেন।

(উইন্ডোজ+ এক্স) বাটনটি চাপুন তাহলে রান অপশন চলে আসবে এছাড়াও আপনি হটকির মাধ্যমেও রান অপশনটা নিয়ে আসতে পারেন সেটা হল (উইন্ডোজ + আর)

টাইপ %temp% এবং ওকে বাটনে ক্লিক করুন। এরপর এখন আপনি টেম্পোরারি ফাইল ফোল্ডারটির ভিতরে প্রবেশ করেছেন তার পরে সেটাকে সিলেক্ট করে ডিলিট করে দিন। এইভাবেই আপনি অনাকাঙ্ক্ষিত হার্ডডিক্সের টেম্পোরারি ফাইলগুলো ক্লিন করতে পারবেন

ডিক্স স্পেস খালি করা

আপনি যদি উইন্ডোজ ১০ থেকে উইন্ডোজ ১১ তে আপগ্রেড করে থাকেন তাহলে আপনার উইন্ডোজ ১১ সিস্টেমে 10 থেকে অবশিষ্ট অস্থায়ী ফাইলগুলো থেকে যেতে পারে। ওই ফাইলগুলো কোন ইউটিলিটি নেই এবং অপ্রয়োজনীয় ভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে এভাবে উইন্ডোজ ১১ টিমটাকে স্লো করে ফেলে। আরেকটি বিষয় লক্ষ্যণীয় যে আপনি যদি উইন্ডোজ ১১ থেকে উইন্ডোজ ১০ রোল ব্যাক করতে চান তাহলে উইন্ডোজ এর পুরনো উইন্ডোজ ১০ সিস্টেমটাকে ১০ দিনের জন্য প্লে করে থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি যদি এর মধ্যে চেয়ে থাকেন আবার উইন্ডোজ ১১ তে যেতে পারবেন। 
তাই আপনি যদি আপনার মত তৈরি করে থাকেন এবং উইন্ডোজ ১১ তে লেগে থাকতে চান তাহলে আপনি আমাদের গায়ের অনুসরণ করে উইন্ডোজ ১১ ডিস্কের জায়গা খালি রাখতে পারেন। এমন কি যদি আপনি উইন্ডোজ ১০ ফাইলগুলো মুছতে না চান তবুও আপনি অস্থায়ী ফাইলগুলো সরিয়ে ফেলতে পারেন। শুধু আমাদের গায়ের অনুসরণ করুন এবং আপনি দেখতে পারবেন যে windows 11 খুব সহজে উন্নত হচ্ছে। 

উইন্ডোজ ১১ দ্রুততর করতে স্তরেজ সেন্স ব্যবহার করুন

এটি ছাড়া আপনি স্টোরেজ সেন্সও সক্ষম করতে পারেন যা সময়ের সময় সময়ে স্বয়ংক্রিয় উইন্ডোজ ১১ পরিস্কার করে থাকে। এটি সক্ষম করতে নিচের পদক্ষেপ গুলো অনুসরণ করুন।

সেটিংস ওপেন এবং ক্লিক করুন সিস্টেম সাইড বার এ
সিলেক্ট করুন স্টোরেজ অপশন তারপরে ক্লিক করুন এনে বল স্টোরেজ সেন্স

অ্যানিমেশন এবং ভিসুয়াল ইফেক্ট ডিজেবল করুন

আমরা জানি উইন্ডোজ ১১ এর কিছু সেরা বৈশিষ্ট্য হল মসৃণ এনিমেশন এক্রাইলিক ব্লার, স্বচ্ছ UI উৎপাদন ইত্যাদি। এই নতুন UI পরিবর্তনগুলি সত্যিই Windows 11-এ একটি নতুন পরিবর্তন এনেছে। কিন্তু আবার, এই সমস্ত অভিনব অ্যানিমেশনগুলি একটি খরচে আসে, বিশেষ করে যদি আপনার একটি ডেডিকেটেড GPU না থাকে। সুতরাং আপনি যদি চান যে উইন্ডোজ 11 চেহারার পরিবর্তে কর্মক্ষমতার উপর ফোকাস করুক, তাহলে সেই অনুযায়ী সেটিংস সামঞ্জস্য রাখতে পারেন। 

সেটিংস খুলুন এবং পার্সোনালাইজ এর দিকে  নেভিগেট করুন।
কালার অপশনে ট্যাগ করুন তারপরে দেখবেন ডিজেবল টুগোল এর জন্য ট্রান্সপারেন্সি ইফেক্ট।
তারপরে সাইডবার থেকে একসেবিলিটিতে যান।
এখন ভিজুয়াল ইফে ক্ট অপশনটি সিলেক্ট করুন এবং ডিজেবল ট্রান্সপারেন্সি ইফেক্ট এবং এনিমেশন ইফেক্ট
এটি করার পর একবার উইন্ডোজ কি চাপুন এবং অনুসন্ধান করুন -ভিউ অ্যাডভান্স সিস্টেম সেটিংস-
ওপেন করে ক্লিক করুন সেটিংস এর নিচে পারফরমেন্স সেকশনে। এখান থেকে পছন্দ করুন " অ্যাডভান্স ফর বেস্ট পারফরমেন্স" এবং ওকে তে ক্লিক করুন।

নোটিফিকেশন এবং টিপস ডিজেবল করুন। 

সাহায্য করুন আপনার ব্যবহারের উন্নতির জন্য পিসি স্ক্যান করা হয়। যা শেষ পর্যন্ত এর ক্ষমতা প্রভাবিত করতে পারে প্রমাণ করতে পারে ডিজেবলের মাধ্যমে। কিভাবে বিজ্ঞপ্তি এবং টিপস নিষ্ক্রিয় করবেন তা এখানে উইন্ডোজ ১১ এর মাধ্যমে দেখানো হলো - সেটিংস অপশনে যান খুব সহজে বের করতে হলে উইন্ডোজ+ আই বাটন প্রেস করুন

নোটিফিকেশন অপশনটি সিলেক্ট করুন তারপরে আপনি দুইটা অপশন পাবেন সাজেশন গুলা এভাবে পেতে পারেন যেমন কিভাবে আমি আমার ডিভাইস টাকে সেটাপ করব এবং কিভাবে এই দুইটা  অপশনকে ডিজেবল করব

ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপস ডিজেবল করুন

অ্যাপস ব্যাকগ্রাউন্ড এ রান হয়ে আপডেট হতে থাকে যেমন মিলিং এবং ক্যালেন্ডার অ্যাপ এই সবগুলোতে কোন সমস্যা হয় না। এছাড়াও বেশ কিছু আনেছেসারি ব্যাকগ্রাউন্ড এপস আছে যেগুলোর জন্য ডিভাইস ফ্ল্যাগ করে এগুলা নিচে আলোচনা করা হলো।
উইন্ডোজ আইকনের রাইট ক্লিক করে অ্যাপস অ্যান্ড ফিচারস অপশনে ক্লিক করুন
তাহলে আপনি খুঁজে পাবেন একটা অ্যাপস এর লিস্ট এ লিস্ট থেকে ফ্রি ডট অপশন এ ক্লিক করে রানিং ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপস থেকে ডিজেবল করে দিবেন এডভান্স অপশনটি সিলেক্ট করুন এবং নিচের দিকে ইস্কুল করে ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপস পার্মিশন এর বইটা নেভার কমপ্লিট টাক্স করে দেবেন আপনি যদি কোন এপ্লিকেশন একেবারে কেটে দিতে চান রানিং ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপস গুলোর মধ্যে থেকে তাহলে শুধু রাইট ক্লিক করবেন উইন্ডোজ আইকনে দেন টাস্ক ম্যানেজার অপশনে যাবেন এইটার শর্টকাট কি হচ্ছে কন্ট্রোল প্লাস সিট প্লাস এক্সিট। এরপরে সিলেক্ট করবেন আপনি যেটা ব্যাকগ্রাউন্ডে রানিং রাখতে চাচ্ছেন না ইন্ড বাটনে ক্লিক করে সেটাকে ইন্ড করে দিবেন।

ভিবিস ডিজেবল করুন (গেমারদের জন্য) 

ভার্চুয়ালাইজেশন বেস্ট সিকিউরিটি ভিবিএস এখনো নতুন ভাবে উইন্ডোজ ১১ টে প্রটেক্ট করছে ও এস আনসেফ কোড এবং মেলওয়ার। এইটা একটা এইচবিসিআই এর অংশ কিন্তু সাম্প্রতিক প্রতিবেদনগুলি পরামর্শ দেয় যে এই সুরক্ষা বৈশিষ্ট্যের কারণে, গেমগুলির কার্যক্ষমতা 5% থেকে 25% কমে গেছে।এমনকি মাইক্রোসফ্ট পরামর্শ দেয় যে গেমিং ল্যাপটপগুলি

"এইচভিসিআই অক্ষম সহ শিপিং করতে পারে" তাই আপনি যদি একজন গেমার হন এবং Windows 11-এ সেরা পারফরম্যান্স চান, তাহলে আপনি VBS ডিজেবল করতে পারেন। সার্চ অপশনে গিয়ে কোর ই-জুলেশন লিখে সার্চ দিবেন এটি ওপেন করুন এবং ডিজেবল টু গোল এ যান যদি হয়ে যায় রিসেট করেন আপনার পিসি

গেম মোড ডিজেবল করুন

আপনি যদি গেম আর না হয়ে থাকেন তাহলে সম্পূর্ণরূপে জ্ঞান মোড ডিজেবল করা ভালো এটাতে বন্ধ করবে ডিভিআর এবং অন্যান্য এক্স বক্স সার্ভিস আপনার উইন্ডোজ এগারোর পিসির সাথে সময় কাটানো।
সার্চ অপশনে গিয়ে গেমিং কথাটা লিখুন তারপরে গেমিং মোড টা অন করে ডিজেবল করে দিন এই একইভাবে এক্সবক্স গেমবার এবং ক্যাপচারস এগিয়ে ডিজেবল করে দেন

তৃতীয় পক্ষের অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ইনস্টল করবেন না

এইটি খুবই কমন যে উইন্ডোজ ১১ তে থার্ড পার্টি এন্টিভাইরাস ইন্সটল হয়ে যায়। হ্যাঁ এখনই প্রয়োজন আপনার ডেডিকেটেড এন্টিভাইরাস প্রোগ্রাম যাই হোক মাইক্রোসফট তৈরি করেছে হাই কোয়ালিটির উইন্ডোজ সিকিউরিটি এটাকে আরেকটা নামে ডাকা যায় উইন্ডোজ ডিফেন্ডার এটাই সবচেয়ে বেস্ট উইন্ডোজ ১১ পিসির জন্য মাইক্রোসফট নিয়মিতভাবে ভাইরাসের আপডেট পরে এবং আমার ব্যবহারে এটি একটি নির্ভরযোগ্য অ্যান্টিভাইরাস হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। এটা ছাড়া অন্য কোন অ্যান্টিভাইরাস ইন্সটল করার সমস্যা হল এটা সত্যিই আপনার পিসিকে ধীরগতি করে দেয় দুইটা অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রামিং ফাইল হ্যাজ চেক করে ইন্টিগ্রেডি চেক করে এবং আরো অনেক কিছু করে থাকে এটি আপনার পিসির কর্মক্ষমতা ব্যবহার করতে পারে সংক্ষেপে বলতে গেলে আমি বলব আপনার উইন্ডোজ ১১ পিসিতে প্রতিক্রিয়াশীল রাখতে তৃতীয় পক্ষ অ্যান্টিভাইরাস ইন্সটল করবেন না। 

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ কিভাবে উইন্ডোজ 11 এর গতি বাড়ানো যায় এবং পারফরম্যান্সের উন্নতি করা যায় এর জন্য আন্টিভাইরাস সফটওয়্যার নির্দিষ্ট ভাবে ব্যবহারের ক্ষেত্রে কার্যকর অনেক ব্যবহারকারীরা অনেক ধরনের ওয়েবসাইট ঘোরাঘুরি করে এতে পিসিকে সুরক্ষিত রাখতে ভালো অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করা উচিত।

রেগুলারলি ভাইরাস স্ক্যান করে ক্লিন করে রাখুন কারণ তারা আপনার পিসির কার্যক্ষমতা কে বাধাগ্রস্ত করতে পারে এবং নিরাপত্তার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে উইন্ডোজ ১১ এর অন্তর নির্মিত ভাইরাস সুরক্ষা রয়েছে যা আপনাকে সেগুলি থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করতে পারে।
স্টার্ট মেনুতে যান। সেটিংস খুলুন এবং তারপরে গোপনীয়তায় যান
উইন্ডোজ সিকিউরিটি অপশনে ক্লিক করুন।
একবার খোলা হলে ভাইরাস এবং হুমকি সুরক্ষার বিকল্পে যান আপডেটের জন্য চেক করুন এবং রান অপশনে গিয়ে কুইক ইস্ক্যান দিন এটা কম্পিউটারের পারফরম্যান্স ইমপ্রুভ করবে এবং আপনার কম্পিউটারকে ভালোভাবে প্রটেক্ট রাখবে।

উইন্ডোজ ১১ ধীড় হয়ে যাচ্ছে কেন

কিভাবে উইন্ডোজ 11 এর গতি বাড়ানো যায় এবং পারফরম্যান্সের উন্নতি করা যায় এর জন্য বড় আপগ্রেড হওয়া সত্বেও উইন্ডোজ ১১পিসি বা ল্যাপটপে স্লো ডাউন করার অনেক কারণ আছে এটি একটি পুরনো পিসি বা ল্যাপটপ হার্ডডিস্ক এর সমস্যা হোক না কেন আপনার কম্পিউটারে উইন্ডোজ কর্মক্ষমতা উন্নত করতে পারে তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে উইন্ডোজ ১১ এর গতি বাড়ানো যায়।

এইফ এ কিউ এস

  • কিভাবে গেমিং এর জন্য উইন্ডোজ ১১ পিসির গতি বাড়ানো যায়
আপনি যদি একজন গেমার হন এবং আপনি গেমিং এর উদ্দেশ্যে উইন্ডোজ ১১ এর গতি বাড়াতে চান তাহলে আপনার পিসিতে ভিবিএস ডিজেবল করা উচিত আপনি উপরের উইন্ডোজ ১১ এর ভিবিএস ডিজেবল করার পদক্ষেপ গুলি পরীক্ষা করে দেখতে পারেন
  • কিভাবে উইন্ডোজ ১১ স্টার্টআপ গতি বাড়ানো
যদি আপনার উইন্ডোজ ১১ পিসি স্টার্ট আপে ধীরগতি সম্পন্ন হয় তাহলে আপনি স্ট্যাটাস প্রোগ্রাম এবং অ্যাপসগুলি বন্ধ করতে পারেন তাছাড়া আপনার হার্ডডিক্স এর একটি এসএসডি তে আপগ্রেড করার কথা ভাবা উচিত যা অবশ্যই আপনার কম্পিউটারকে স্টার্টআপ গতিতে একটি বিশাল বুস্ট দেবে।
  • সহজে উইন্ডোজ ১১ পারফরমেন্স উন্নত করুন
এই কয়েকটি উপায় যা আপনাকে উইন্ডোজ ১১ এর গতি বাড়াতে সাহায্য করতে পারে উইন্ডোজ ১১ দ্রুত গতি সম্পন্ন রাখতে আপনি অনুসরণ করতে পারেন এমন কিছু অন্য টিপস রয়েছে যেটি হলো ওয়ান ড্রাইভ উইন্ডোজ ১১ সমস্যার সমাধান এবং আরও অনেক কিছু করা যেতে পারে মনে রাখবেন আমরা কোন রেজিস্ট্রি সেটিংস পরিবর্তন করার পরামর্শ দেইনি কারণ তারা কিছু উইন্ডোজ উপাদান ভেঙে ফেলতে পারে। ডিবলোয়ার স্ক্রিপ্ট বেশিরভাগ কাজ করে এবং  ম্যানুয়ালি রেজিস্ট্রি না করে অপ্রয়োজনীয় প্যাকেজ গুলো সরিয়ে দেয়। 

কিভাবে উইন্ডোজ 11 এর গতি বাড়ানো যায় এবং পারফরম্যান্সের উন্নতি করা যায় এর জন্য আপনি যদি একজন পুরনো ইস্কুল ব্যবহারকারী হন এবং উইন্ডোজ ১১ কে উইন্ডোজ ১০ এর মত দেখতে চান আমাদের লিংক করা গাইড অনুসরণ করুন এবং যদি আপনার কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে নিচের মন্তব্য বিভাগে আমাদের জানান। এছাড়া নতুন নতুন পোস্ট পাওয়ার জন্য আমাদের পেজটি ফলো দিয়ে রাখুন।
উইন্ডোজ ১১ সম্পর্কে আরো জানতে Searchlinkpro ওয়েব সাইটটি ভিজিট করুন
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url