অনলাইনে কিভাবে জমি খারিজ করা যায়

অনলাইনে কিভাবে জমি খারিজ করা যায় আর সম্পর্কে প্রিয় পাঠক আপনাদের সামনে এই পোস্টটি নিয়ে হাজির হয়েছি। অনলাইনে কিভাবে জমি খারিজ করা যায় তার সম্পর্কে জানতে আমাদের এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে করার চেষ্টা করুন। তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন অনলাইনে কিভাবে জমি খারিজ করা যায় তা সম্পর্কে।
অনলাইনে কিভাবে জমি খারিজ করা যায়
অনলাইনে কিভাবে জমি খারিজ করা যায় তা সম্পর্কে আপনাকে জানতে হলে আগে জানতে হবে নামজারি প্রক্রিয়া কাকে বলে? উত্তরঃ নাম যারই প্রক্রিয়াটি হল উত্তরাধিকার সূত্রে বা অন্য কোন উপায়ে জমির মালিক অন্য একজন মালিকের কাছে হস্তান্তর করলে সেটাকে খতিয়ানভুক্ত করতে হয় সেই খতিয়ানভুক্ত প্রক্রিয়াটাকেই নামজারি বলা হয়।

ভূমিকা

অনলাইনে কিভাবে জমি খারিজ করা যায় তার সম্পর্কে জানার জন্য যদি আপনি এই পর্যন্ত পোস্টটি পড়ে থাকেন তাহলে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। তবে আপনাকে প্রথমে ই নাম জারি করতে হলে তাদের ওয়েবসাইটে যেতে হবে। তাহলে চলুন অনলাইনে কিভাবে জমি খারিজ করা যায় তা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক নিজের পয়েন্টটি থেকে।

অনলাইনে কিভাবে জমি খারিজ করা যায়

অনলাইনে কিভাবে জমি খারিজ করা যায় তার সম্পর্কে এখানে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে তাই পোস্টটি না টেনে সম্পন্নটি ধৈর্য সহকারে পড়ার চেষ্টা করবেন তাহলে বুঝতে পারবেন, অনলাইনে কিভাবে জমি খারিজ করা যায়। সবার প্রথমে আপনাকে তাদের ওয়েবসাইটে যেতে হবে। ওয়েবসাইটে যাওয়ার পরে এই নাম যারই আইকনে ক্লিক করে প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করতে হবে।
তাৎক্ষণাৎ আবেদন ফি বাবদ ৭০ টাকা ( কোর্ট বাবদ ২০ টাকা, নোটিশ জারি ফি এর জন্য ৫০ টাকা) অনলাইনের মাধ্যমে অথবা ডিজিটাল পেমেন্ট এর মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে। ডিজিটাল পেমেন্ট গুলো হলঃ বিকাশ, রকেট, নগদ, উপায়, যেকোনো ব্যাংকের ডেবিট অথবা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারবেন।

নামজারির তথ্য আপনার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানতে পারবেন। অনলাইনে শুনানি করতে চাইলে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে রিকুয়েস্ট করতে হবে। আবেদন একসেপ্ট করা হলে নাগরিক ডিসিআর ফি ১১০০ টাকা জমা দিলেই আপনার মোবাইলে একটি মেসেজ আসবে। তারপরে আপনি নিজেই অনলাইন ডিসিআর এবং নামজারি খতিয়ান গ্রহণ করতে পারবেন।

জমি খারিজ করতে কি কি কাগজ লাগে

জমি খারিজ করতে কি কি কাগজ লাগে তা হল জমি খারিজ এমন একটি প্রক্রিয়া, যেটি ছাড়া কোন জমির নতুন মালিকানাসত্য পাওয়া সম্ভব নয়। খুব সহজে যদি বিষয়টি বুঝাতে চায় তাহলে পুরনো মালিকের নাম বাদ দিয়ে নতুন মালিকের নাম অন্তর্ভুক্ত করাকে জমি খারিজ করা বোঝায়। জমি খারিজ করার জন্য বেশ কিছু কাগজের প্রয়োজন হয় সেগুলো হলো-
  • জাতীয় পরিচয় পত্র
  • নির্দিষ্ট এক কপি ছবি
  • ডকুমেন্টস অথবা দলিল পত্র
  • ব্যক্তির স্বাক্ষর
  • খতিয়ানের ফটোকপি
  • বায়া দলিলের ফটোকপি ওয়ারিশান সনদ
  • জমি উন্নয়ন কর পরিষদের কপি

জমির খারিজ করতে কত টাকা লাগে

জমি খারিজ করতে কত টাকা লাগে এটি জানার জন্য যদি আপনি এই পোস্টটি পড়ে থাকেন তাহলে পোস্টটি আপনার জন্য। জমি খারিজ করতে খুব বেশি টাকা লাগে না। তবে অনেক সময় দালাল অথবা জমি খারিজ অফিসের লোকেরা সাধারণ মানুষকে ভুল বুঝিয়ে অনেক টাকা খরচ করানোর চেষ্টা করে।

তারা বলে থাকে জমির পরিমাণ বেশি হলে খাজনা ও খারিজ বা নামজারি করতে বেশি টাকার প্রয়োজন হয়। এ কথাটা একেবারেই সঠিক নয়। জমির পরিমাণ যাই হোক না কেন খারিজ বা নাম জারি করতে একি পরিমাণ টাকা লাগে। অতিরিক্ত টাকার প্রয়োজন হয় না।
সর্বশেষ গেজেট অনুসারে জমি খারিজ করতে মোট ১১৫০ টাকা লাগে। তাছাড়া আপনারা যখন জমি খারিজ করে ফেলবেন তখন খারিজকৃত কাগজের উপরে ২০ টাকা দামের কোট-ই লাগিয়ে দেয়া হবে। অর্থাৎ অফিসিয়াল ভাবে আপনাদের মোট ১১৭০ টাকা প্রদান করতে হবে। তাছাড়া অনলাইন খরচ এবং সামান্য কিছু খরচ হতে পারে।

জমি খারিজ করতে কতদিন সময় লাগে

জমি খারিজ করতে কতদিন সময় লাগে তাহার সম্পর্কে জানার জন্য আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। মহানগরে ৬০ কর্মদিবসে এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ৪৫ কর্মদিবস এর মধ্যে নামজারি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। তবে প্রবাসীদের ক্ষেত্রে মহানগরের ক্ষেত্রে,

১২ কর্ম দিবস এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে নয় কর্ম দিবসে নামজারি কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয় সরকারি নিয়ম অনুসারে। তবে সাধারণত ২৮ দিনে নামজারি প্রক্রিয়া নিষ্পত্তি হয়ে থাকে। নামজারির জন্য আবেদন করা জমিটি আপনি ক্রয়, ওয়ারেশন, হেবা , নিলাম, অন্যান্য কি সূত্রে পেয়েছেন তা চিহ্নিত করতে হবে।

জমি খারিজ না করলে কি হয়

জমি খারিজ না করলে কি হয় তা সম্পর্কে জানার জন্য আপনি যদি এই পেজটি পড়ে থাকেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। এখানে বলা হয়েছে জমি খারিজ না করলে কি হয় তা সম্পর্কে। জমি নামজারি ছাড়া অর্থাৎ খারিজি ছাড়া জমি নিজের বলে দাবি করলেও সম্পূর্ণ মালিকানা হস্তান্তরিত হবে না।
কারণ জমি খারিজ না হলে আসল মালিকের নামে থাকে বলে ভূমিক কর্মকর্তারা মেনে নেয়। তাই প্রথম মালিক চাইলে বিক্রয় করে দিতে পারে। তাই নিজের জমি নিজের নামে রাখার জন্য অত্যন্ত বাধ্যতামূলক জমি খারিজ করা অথবা নাম জারি করা আবার ইংরেজিতে বলতে পারেন মিউটেশন করা।

লেখকের শেষ কথা

প্রিয় পাঠকদের উদ্দেশ্যে সবার শেষে একটা কথা না বললেই না আমরা এখান থেকে জেনেছি অনলাইনে কিভাবে জমি খারিজ করা যায় তার সম্পর্কে। এছাড়াও আমরা জেনেছি জমি খারিজ করতে কি কি কাগজ লাগে। জমি খারিজ করতে কত টাকা লাগে অনলাইনে সেটাও জেনেছি আমরা। এছাড়াও আমরা জেনেছি জমি খারিজ করতে কতদিন সময় লাগে।

জমি খারিজ না করলে কি হয় তা আপনি উপরের পোস্টটি পড়ে বুঝতে পেরেছেন। খারিজ না করলে আপনি অনেক ধরনের সমস্যায় পড়তে পারেন। তাই আপনার জমি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খারিজ করে নিবেন। আপনাদের জমি সম্পর্কে আরো কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট বক্সে আমাদেরকে জানাতে পারেন আমরা আরো একটি নতুন পোস্ট দিয়ে আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url