MTFE র CEO রা ওমরা হজে অ্যাপস বন্ধ কেন mtfe কত দিন থাকবে

 

MTFE র CEO রা ওমরা হজে অ্যাপস বন্ধ কেন mtfe কত দিন থাকবে প্রিয় পাঠক আপনাদের পড়ার উদ্দেশ্যে আজ নতুন একটা টপিক নিয়ে হাজির হয়েছি MTFE র CEO রা ওমরা হজে অ্যাপস বন্ধ কেন mtfe কত দিন থাকবে এটির সম্পর্কে আজ বিস্তারিত আলোচনা করব তাই পোস্টটি না টেনে পড়ার চেষ্টা করবেন এছাড়াও সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার আগে সূচিপত্রটি দেখে নিন তাহলে আপনার প্রয়োজনমতো টপিক অনুযায়ী পড়তে সুবিধা হবে তাহলে চলুন MTFE র CEO রা ওমরা হজে অ্যাপস বন্ধ কেন mtfe কত দিন থাকবে শুরু করা যাক সূচিপত্র দিয়ে।


MTFE র CEO রা ওমরা হজে অ্যাপস বন্ধ কেন mtfe কত দিন থাকবে কারণ ক্রিপ্টোকারেন্সিতে প্রায় বাংলাদেশি টাকার ১১ হাজার কোটি টাকা নিয়ে বন্ধ হয়েছে এই MTFE অ্যাপসটি অথবা এই প্রতিষ্ঠানটি প্রথমত এই কোম্পানিটির দুবাই ভিত্তিক মাল্টি লেভেল এর মার্কেটিং বা এমএলএম এর মাধ্যমে দুবাইয়ে ব্যবসা করত 
ভারত ও বাংলাদেশ থেকে প্রতিষ্ঠানটিতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিনিয়োগকারী ছিল তবে এই ১ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে প্রায় ৯০% অর্থই হচ্ছে বাংলাদেশী মানুষের এইটা সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে জানা গেছে। সাইবার ক্রাইম এর মধ্যে অনলাইনে ইনভেস্ট করে কম সময়ে অধিক মুনাফা লাভের জন্য অন্যতম প্ল্যাটফর্মের মধ্যে MTFE অন্যতম ছিল 

বাংলাদেশে এই কোম্পানির কোন বৈধ অফিস নেই আছে শুধু এলাকাভিত্তিক প্রতিনিধি এসব প্রতিনিধি কোম্পানির কাছ থেকে পাওয়া বড় একটি মুনাফা নিয়ে দেশের বিভিন্ন শ্রেণীতে পেশায় মানুষদের কম সময়ে অধিক মুনাফায় আকর্ষণীয় লোভ দেখানোর মাধ্যমে মানুষের টাকা ছিনিয়ে নিচ্ছে এর মাধ্যমে মানুষের একাউন্ট খুলে দিয়ে টাকা ইনভেস্ট এর জন্য মানুষকে উদ্বুদ্ধ করছে।

প্রায় 100 কোটি টাকার উপরে শেষ করলেন কুষ্টিয়াবাসী অপর পাশে MTFE এরা ওমরা হজে। mtfe কত দিন থাকবে

MTFE এই অ্যাপে প্রায় শত কোটি টাকায় ইনভেস্ট করেছিলেন কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা বিভিন্ন শ্রেণীর পেশায় প্রায় দুই হাজার মানুষ। জানাই রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার আশায় কুমারখালী সহ কুষ্টিয়া জেলার অত্যন্ত ৫০০০ মানুষ ৮০০০ থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করেছিলেন এই অ্যাপসে ৬ আগস্ট শুক্রবার থেকে এই অ্যাপস এর কার্যক্রম বন্ধ থাকে বলতে গেলে বন্ধ হয়ে যায়। 
এই কোম্পানিটি মাল্টি লেভেল এ এমএলএম মার্কেটিং করত যা দেশের জন্য একদমই বেআইনি। জানা গেছে কুমারখালীতে MTFE এর মূল হোতা ওরসভার বাটিকামারা মধ্যপাড়ার মৃত শামসুল উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ মিজানুর রহমান তিনি ফুলপুরি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন পরিচালক এবং তার প্রধান সহকারী ছিলেন পৌরসভার ঝাউতলা এলাকার মৃত তোফাজ্জেলের ছেলে মোহাম্মদ মাসুম আলী।

তিনি বাংলাদেশ পুলিশের কনস্টেবল ছিলেন চাকরি করতেন ঢাকা হেডকোয়ার্টার আইডি সেক্টরের অধীনে ওই সময় তিনি পুলিশের চাকরি ছেড়ে দিয়ে অনলাইনে বেশ কিছু ব্যবসা শুরু করেন তার মধ্যে MTFE অন্যতম। কুমারখালী বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন সিঙ্গার প্লাজার দোতালায় অফিস করে প্রায় দেড় বছর ধরে এই ব্যবসা পরিচালনা করেন মাসুম মিজানের মধ্যে উপজেলায় প্রায় দুই হাজার মানুষ বিনিয়োগ করেছে।

প্রত্যেকে আট হাজার থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করেছে। এই ব্যবসায়ীদের কারো মাধ্যমে জানা গেছে ১০০ জন বা দেড় কোটি টাকা বিনিয়োগ করলে কোম্পানি তাকে কান্ট্রি অফ অপারেশন সার্ভিস পদমর্যাদা দিবে উপরোক্ত আলোচিত মিজানুর রহমান কুষ্টিয়ার MTFE অ্যাপসের সিইও ছিলেন গত 11 আগস্ট মিজানুর ও মাসুম ওমরা হজে গিয়েছিলেন।

এরপর থেকেই অ্যাপটিতে নানা সমস্যা ও কমিশন কমে যায় আর গত শুক্রবার ১৮ আগস্ট থেকে অ্যাপস বন্ধ হয়ে গেছে। শনিবার 19 আগস্ট বিকেলে পৌরসভা ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ঝাউতলা এলাকায় মাসুম আলী বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে মাসুমের ঘরে MTFE বিভিন্ন জনের প্রোফাইল এবং কাগজপত্র হিসাব নিকাশের ফাইল সৌদি আরবের ওমরা হজে গিয়েছেন মাসুম।
তার মা রেখা খাতুন বলেন মাসুম পুলিশের চাকরি করতো চাকরি ভালো না লাগায় দেড় বছর আগে ছেড়ে দেয় এবং MTFE ব্যবসা শুরু করে ছাগলের মাধ্যমে পঞ্চাশ হাজার টাকা ইনভেস্ট করেছিলেন তিনিও সিও পদে আছেন তিনি আরো বলেছিলেন তার ছেলের কোন দোষ নেই মানুষ রাতারাতি কোটিপতি হবার লোভে ইনভেস্ট করেছিল। 

তার ছেলে সৌদি আরবে হজে গেছে। যিনি প্রধান ছিলেন মিজানুর রহমানের বাড়িতে জানা যায় তিনি হজে গেছেন বাড়িতে আছেন তার স্ত্রী সুমি খাতুন তবে তিনি এসব নিয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি এছাড়া কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ আকিবুল ইসলাম বলেন ফেসবুকের মাধ্যমে MTFE সন্ধানে জানতে পেরেছি তবে এখন পর্যন্ত থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।

ঋণের বোঝাও ধরিয়ে দিয়েছেন এই MTFE শুধু টাকা নিয়েই ক্ষান্ত হননি

এই দিকে বর্তমানে ইনভেস্টররা প্রতিটি অ্যাকাউন্ট থেকে ওই অ্যাপটি আরো অর্থ পাবে বলে উল্টো ঋণের বোঝা ধরিয়ে দিয়েছে একাউন্টে বিভিন্ন পরিমাণ অর্থ উল্লেখ করে তার আগে বিনিয়োগ চিহ্ন দিয়ে রেখেছে এতে করে দ্রুত আয় করার স্বপ্ন লাখ টাকা ইনভেস্ট করেছিলেন তারা এখন সর্বস্বান্ত হয়ে চোখে সরিষার ফুল দেখছে। 

অ্যাপটি চালু থাকা অবস্থায় সর্বনিম্ন ২৬ ডলারের সমপরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করতে হতো এই টাকা বিনিয়োগ করলে প্রতিদিন পাওয়া যাবে শতকরা হিসেবে নির্দিষ্ট মুনাফা এই মুনাফা লোভে বেশকিছু শ্রেণির মানুষ কর্মঠ বেকার মানুষ ইনভেস্ট করেছিলেন। কোন কাজ ছাড়াই মুনাফা পাওয়ার আশায় কেউ কেউবা জমি বন্ধক রেখে কেউ বা জমানো টাকা। 

কেউ বা বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ অথবা ধার নিয়ে লাখ লাখ টাকা এই অ্যাপসে বিনিয়োগ করেছিলেন। এই অ্যাপস এর মাধ্যমে যারা প্রতারণা শিকার হয় তারা জানায় অ্যাকাউন্ট খোলার পর বিনিয়োগ করার টাকার উপর নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা হতো হঠাৎ করে একাউন্ট থেকে তারা টাকা উঠাতে গিয়ে দেখেন একাউন্টে কোন ডলার এই কোম্পানি লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। 
এই ব্যবসা থেকে অনেকেই আছেন যারা তুলে নিয়েছেন আর যারা বেশি মুনাফার আশায় ছিলেন তারা তো মূল টাকা তুলতে পারেইনি বরং সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছে নাম প্রকাশ না করা শর্তেও নওগাঁ শহরের এক ভুক্তভোগী বলেন একটু লোভের আশায় ধার করে এক লাখ টাকা ইনভেস্ট করেছিলাম কিছুদিন তারা এই টাকার উপর লাভও দিয়েছিল। 

কিন্তু হঠাৎ করে কিছুদিন আগে থেকে টাকা উঠানো বন্ধ করে দেয় এখন শুনছি অ্যাপসটাই নাকি উধাও হয়ে গেছে এখন ধারের টাকায় পরিশোধ করা চিন্তায় আছেন তিনি। নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান বলেন এ বিষয়ে আমাদের কাছে এখনো কেউ কোনো অভিযোগ করেনি কোন ভুক্তভোগী অভিযোগ করলে তদন্ত করে আইনত ব্যবস্থা নেয়া যাবে।

MTFE এই অ্যাপসের সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংক কি বলেছেন

সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ আব্দুল্লাহ আল জাবের বলেছেন অনেকদিন থেকেই আমরা এই প্লাটফর্মটি নিয়ে সতর্কতা দিয়ে আসছিলাম কিন্তু মানুষ লোভে পড়ে এখানে টাকা ইনভেস্ট করছে তাই তারা যেমন কেন্দ্রীয় ব্যাংকে কোন তথ্য দেয় না তেমনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের কাছ থেকে কোন তথ্য আনে না ফলে প্রতারণার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে কোন তথ্য নেই বলে জানান।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url