ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক সময় - ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

প্রিয় পাঠক আজ আপনাদের সাথে একটা নতুন টপিক নিয়ে হাজির হয়েছি। আপনারা অনেকেই ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক সময় নিয়ে খোঁজাখুজি করেছেন কিন্তু কোথাও কোনো সঠিক সমাধান পাচ্ছেন না। তাই আমাদের এই পোস্টটি আজ আপনাদের জন্য সঠিক সমাধান নিয়ে এসেছি। এছাড়াও আপনারা অনেকেই ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন।
ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক সময় - ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
তাই আপনাদের জন্য আজ এই পোষ্টটি সঠিক সমাধান দিতে ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবে। তাহলে চলুন আর আপনাদের সময় নষ্ট না করে পোস্টটি শুরু করা যাক। এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধৈর্য সহকারে পড়লে আপনি বুঝতে পারবেন ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক সময় ও ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো কি কি।

ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক সময় - ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - প্রথমত

ড্রাগন ফলের চামড়া, উজ্জ্বল লাল রঙ একে বাকি ফলের থেকে অনেক বেশি সুন্দর দেখায়। ড্রাগন ফল খেতে কিন্তু মিষ্টি হয়। এটি ক্যাকটাস পরিবারের অংশ এবং এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি রয়েছে। ড্রাগন ফল সঠিক কিভাবে খেতে হয় জানার সাথে সাথে একটি বিশেষ পদ্ধতিও জেনে নিন। ড্রাগন ফল (Dragon Fruit) একটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় ফল যা সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আগে বাংলাদেশে এই ফলের তেমন একটা পরিচিতি ছিল না, বাজারে গেলে শোনা যেত, এটি থাইল্যান্ড থেকে এসেছে।

তবে বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এই ফলের চাষ হয় এবং আমাদের দেশে চাষ করা ড্রাগন‌ই সারা দেশের মানুষ খেতে পারছে। দেখতে ও খেতে ভিন্নধর্মী হওয়ায় অনেকের কাছেই এটি খুব প্রিয় ফল। তবে গবেষণা বলছে শুধু স্বাদ নয় বরং এর অনেক গুলো স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। আজকে আলোচনা করবো ড্রাগন ফলের অসাধারণ পুষ্টিগুণ, উপকারিতা এবং এটি কীভাবে খেতে হয় তা নিয়ে। এছাড়াও এই ফল খেলে কোনো সমস্যা হতে পারে কিনা সেই সম্পর্কে জানতে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।

ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক সময়

ড্রাগন ফলের স্বাদ বিশেষ করে ঠান্ডা হয়। ড্রাগন ফল ফ্রিজে রেখে তারপর কেটে খান দারুন স্বাদ পাবেন। ড্রাগন ফলের চামড়া বা উপরের রঙিন খোসা খাবেন না। তাছাড়া নিচে একটি রেসিপি বলে দিলাম। এরকম ভাবেও একবার খেয়ে দেখতে পারেন। ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম অন্য সাধারণ ফলের মতো তবে ফলটির উপরের অংশ দেখে আমাদের অনেকেরই মনে হয় ফলটি খাওয়ার নিয়ম অনেকটাই অন্যরকম বা নিয়ম ভিন্ন।
পাকা ফল নির্বাচন করুন। ড্রাগন ফল উজ্জ্বল লাল বা গোলাপী রঙের হয়। এটি সম্পূর্ণ পেকে গেলে সবচেয়ে ভালো স্বাদ হয়। ড্রাগন উপর থেকে চাপ দিন বা টিপুন। আঙুলের চাপে এর উপরের অংশ ঢুকে গেলে বুঝবেন পেকে গেছে। যদি এটি খুব নরম হয়, তার মানে এটি অতিরিক্ত পাকা, এবং টেক্সচার ততটা ভালো হবে না। যদি কঠিন হয়, তাহলে কয়েকদিন পর খান। কালো দাগ বা ক্ষত, বাদামী শুষ্ক দাগ বা শুকনো কাঁটাযুক্ত ফল এড়িয়ে চলুন। এগুলোর স্বাদ ভালো হয় না। ধারালো ছুরি ব্যবহার করে ড্রাগন ফল অর্ধেক করে কাটুন। ভিতরে উজ্জ্বল সাদা মাংস দেখতে পাবেন যা ছোট কালো বীজে ভরা।

ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম

একটি চামচ দিয়ে মাংস বের করে নিন। চামড়ার প্রান্ত বরাবর চামচ চালান এবং তারপর মাংস আলগা করার জন্য নীচে স্কুপ করুন। ফল পাকা হলে, খোসা থেকে মাংস সহজে আলাদা হয়ে যাবে। এবার ড্রাগন ফল খান। এটিকে সরাসরি চামচে তুলে মুখে পুরে দিন। খেতে দারুন লাগবে। আবার আপেলের মতো চার ভাগে কেটে নিয়েও খেতে পারেন। ড্রাগন ফলের স্বাদ বিশেষ করে ঠান্ডা হয়।

ড্রাগন ফল ফ্রিজে রেখে তারপর কেটে খান দারুন স্বাদ পাবেন। ড্রাগন ফলের চামড়া বা উপরের রঙিন খোসা খাবেন না। তাছাড়া নিচে একটি রেসিপি বলে দিলাম। এরকম ভাবেও একবার খেয়ে দেখতে পারেন।ড্রাগন ফল একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল। এটি খেতে বেশ সহজ। তবে প্রথমবার খাওয়ার সময় একটু চিন্তা করতে হয়, ফলটি কিভাবে কাটে, কিভাবে খায়!

ড্রাগন ফল যেভাবে খাবেন

  • খাওয়ার যোগ্য বা পাকা একটি ফল নিন।
  • ছুরি কিংবা বটি দিয়ে ফলটি সোজা অর্ধেক করে কেটে নিন।
  • এবার একটি চামচ দিয়ে ফলের চামড়া থেকে ফলের নরম অংশ উঠিয়ে খেতে পারেন।
  • অথবা পাকা কাটা আমের মত খোসা ছাড়িয়ে ভেতরের নরম অংশ ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিতে পারেন।

ড্রাগন ফল পরিবেশন করতে হলে

  • ছোট ছোট টুকরো করে বাটিতে কিংবা প্লেটে চামচ সহ পরিবেশন করুন
  • যারা স্বাস্থ্য সচেতন তারা সকালের নাস্তা হিসেবে ছোট ছোট টুকরোর উপরে টক দই এবং বাদাম দিয়ে খেতে পারেন।
  • এটি ফ্রুট কিংবা ভেজিটেবল সালাদে মিশিয়েও খেতে পারেন

ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

ড্রাগন ফলের চাষ এখন দেশেই হচ্ছে। ফলে এর দেখা মিলছে এখন প্রায় সবখানেই। ড্রাগন ফল দুই ধরনের হয়- ভেতরের অংশ লাল ও সাদা। দেখতে ও খেতে চমৎকার হওয়ার পাশাপাশি পুষ্টিগুণের দিক থেকেও অনন্য ড্রাগন ফল। জেনে নিন কেন নিয়মিত এই ফল খাবেন। ড্রাগন ফল হচ্ছে একপ্রকার ক্যাকটাস জাতীয় ফল। এই ফল পিটাইয়া নামেও পরিচিত। ড্রাগনের উদ্ভিদতাত্ত্বিক নাম হচ্ছে হায়লোসেরিয়াস আনডেটাস (Hylocereus undatus)।

এই ফলের উৎপত্তি প্রথম হয়েছিল আমেরিকাতে। এরপরে ২০০৭ সালে ভিয়েতনাম, ফ্লোরিডা ও থাইল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে এনে চাষ করা হয়। ড্রাগনের গাছে কোনো পাতা থাকেনা এবং এই গাছ ১ দশমিক ৫ থেকে ২ দশমিক ৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। ফলটি বিদেশী হলেও আমাদের দেশে বেশ জনপ্রিয় এর পুষ্টিকর উপাদান এবং লাল টুকটুকে রং এর জন্য।

ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ

ড্রাগনে রয়েছে প্রচুর আ্যন্টিঅক্সিডেন্ট। ফ্ল্যাভোনয়েড,ফেনোলিক এসিড, এবং বিটাসয়ানিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই উপাদান গুলো থাকার ফলে কোষকে ফ্রি র‍্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করে।

ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়

ড্রাগন ফল ডায়াবেটিস রুগীর জন্য অনেক উপকারী একটি ফল। ড্রাগনে প্রচুর পরিমান ফাইবার থাকায় রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রনে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যখন একজন ব্যক্তি নিয়মিত ড্রাগন ফল খাবে তার ডায়াবেটিস এর ঝুঁকি কমে যাবে। আর যারা ডায়াবেটিসে ভুগছে তারা যদি নিয়মিত ড্রাগন ফল খায় তাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে আসবে।

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়

বর্তমানে সারা বিশ্বে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ মৃত্যুবরন করছে। মহামারী এই ক্যান্সার দূর করতে ড্রাগন ফল ভুমিকা রাখে। ড্রাগনে রয়েছে ক্যান্সার বিরোধী উপাদান যা ক্যান্সার নিয়ন্ত্রনে সাহায্য করে। বিশেষ করে এই উপাদান গুলো কোলন ক্যান্সার রোধে বেশি কাজ করতে সক্ষম। যাদের বংশগত ক্যান্সারের ইতিহাস আছে বা ক্যান্সারের লক্ষন প্রকাশ পেয়েছে তারা নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে ঝুঁকি হ্রাস পাবে।

হজমে সাহায্য করে

যাদের খাবার সহজে হজম হয়না, পেটে সারাক্ষন অসুখ লেগেই থাকে ব্যথা হয় তাদের জন্য ড্রাগন অনেক উপকারী। যাদের খাবার হজম করতে সমস্যা হয় তারা যদি নিয়মিত ড্রাগন ফল খায় তাদের খাবার হজম সমস্যা দূর হয়। যেহেতু ড্রাগনে ফাইবার রয়েছে তাই এটি পরিপাক তন্ত্র সুস্থ রাখে ফলে পরিপাক ক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হতে পারে। ড্রাগন ফল দেহের উপকারী ব্যাকটেরিয়া বাড়ায়৷ আর ব্যাকটেরিয়া হজম শক্তি বাড়ায়। তাই যারা হজমের সমস্যায় বা পেটের অসুখে ভুগছেন তারা নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে উপকার পাবেন। কারন ড্রাগন ফল আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি করবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে।

হার্টের সুস্থতায় ড্রাগন ফল

ড্রাগন ফলে রয়েছে মনোস্যাচুয়েটেড নামক একটি উপাদান। মনোস্যাচুয়েটেড উপাদান হার্ট সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ড্রাগন ফলের রয়েছে বিস্ময়কর শক্তি যা শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল ধ্বংস করে এবং ভাল কোলেস্টেরল এর মাত্রা বৃদ্ধি করে হার্টকে সুস্থ রাখে। বর্তমানে দেশে হার্ট এর রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। হার্টকে সুস্থ রাখতে এবং হার্ট অ্যাটাকে মৃতের সংখ্যা কমিয়ে আনতে সাহায্য করতে পারে ড্রাগন। ড্রাগন ফলের বীজে রয়েছে ওমেগা থ্রি ও ওমেগা নাইন নামক ফ্যাটি এসিড যা হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

ড্রাগন ফল ওজন হ্রাসে সাহায্য করে

ওজন বাড়লে শরীরে ডায়াবেটিস, হার্ট এর অসুখ, হাই প্রেসার সহ নানান জটিলতা দেখা দেয়। তাই যাদের ওজন বাড়ে তারা দুশ্চিন্তায় পরে যায় কিভাবে ওজন কমানো যায়। যারা খুব সহজে ওজন কমাতে চান তারা ড্রাগন ফল খাওয়ার মাধ্যমে ওজন কমাতে পারেন। ড্রাগন ফলে ফ্যাট খুব সামান্য থাকে বলা চলে একেবারেই নেই। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ড্রাগন ফল রাখলে ক্ষুধা দূর হবে আবার শরীরে বাড়তি কোনো ক্যালরীও জমবেনা।

ড্রাগন ফল হাড় মজবুত করে

ড্রাগন ফল হাড় শক্ত ও মজবুত করতে সাহাযত করে। শরীরের হাড় শক্ত ও মজবুত করতে ম্যাগনেশিয়াম গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। আর ড্রাগন ফলে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাগিনেশিয়াম যা অন্যান্য ফলে পাওয়া যায় না। যারা নিয়মিত ড্রাগন ফল খায় তাদের হাড় মজবুত হয়। যারা হাড়ের সমস্যায় ভুগছেন তারা নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে উপকার পাবেন।

ব্রনের সমস্যায় ড্রাগন

ড্রাগন ফলে ভিটামিন সি থাকায় টপিকাল মলম হিসেবে কাজ করে। মুখে ব্রনের অন্যতম কারন ভিটামিন সি এর অভাব। তাই ড্রাগন ফল নিয়মিত খেলে ব্রন সমস্যা দূর হয়। ব্রন আক্রান্ত স্থানে ড্রাগন ফল পেষ্ট করে লাগালেও ব্রন দূর হয়।

ড্রাগন রক্তশূন্যতা দূর করে

শরীরে রক্তের অভাব হলে শরীর ফ্যাকাশে এবং দূর্বল হয়ে যায়। শরীরের রক্তের ঘাটতি জনিত রোগকে রক্তশ্যনতা রোগ বলা হয়৷ চিকিৎসকদের মতে, "ড্রাগন ফল রক্তশুন্যতা দূর করে।" ড্রাগন ফলে আছে আয়রন। রঙিন ফলমূলে আয়রন বেশি পাওয়া যায়। আয়রন থাকায় ড্রাগন ফল রক্তশুন্যতা রোগ দূর হয়। তাই যাদের শরীরে রক্তের ঘাটতি আছে, হিমোগ্লোবিন কম আছে, হিমোগ্লোবিন বাড়ছেনা তারা নিয়মিত ড্রাগন ফল খাওয়ার জন্য খাদ্যতালিকায় রাখুন। আপনার রক্তের পরিমান বাড়িয়ে রক্তশুন্যতা থেকে রক্ষা করবে ড্রাগন ফল।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে ড্রাগন ফল

যদি আপনি রক্তচাপ সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে ড্রাগন ফল খেয়ে নিস্তার পেতে পারেন। কারন ড্রাগন রক্তচাপ সমস্যায় ভূমিকা পালন করে। ড্রাগন খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন করে। ড্রাগন ফলে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে সাহায্য করে।

যারা নিয়মিত ড্রাগন ফল খায় তাদের শরীরে ড্রাগন ফলের পটাশিয়াম রক্ত নালীকে শিথিল করে রক্ত প্রবাহকে নিয়ন্ত্রন করে। যার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে থাকে। ড্রাগনে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তনালীকে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে বিরত রাখে। যার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে থাকে।
একটি গবেষনায় দেখা গেছে, ” রক্তচাপে আক্রান্ত রুগীরা নিয়মিত ড্রাগন ফল খায় তাদের সিষ্টোলিক রক্তচাপ ২.৫ মিমি পারদ হ্রাস পায় এবং ডায়াষ্টোলিক রক্তচাপ ২.১ মিমি পারদ হ্রাস পায়।” তাই রক্তচাপের সমস্যায় যারা ভুগছেন তারা নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে উপকার পেতে পারেন।

ড্রাগন ফল দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে

ড্রাগন ফলে বিটা ক্যারোটিন নামক উপাদান যা দৃষ্টি শক্তি ভাল রাখতে সহায়তা করে। ড্রাগন ফলে রয়েছে ভিটামিন এ। ভিটামিন এ চোখের দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখতে সহায়ক। ড্রাগন ফল ক্যারোটিন সমৃদ্ধ একটি ফল যা ভিটামিন এ তে পরিনত হয়ে চোখের ছানি ও ম্যাকুলার ডিজেনারেশন এর ঝুঁকি কমায়। গবেষনা থেকে প্রমানিত হয়েছে যে, ম্যাকুলার ডিজেশনে আক্রান্ত রোগীরা নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে রুগীদের চোখের দৃষ্টি উন্নত হয়।

ড্রাগন ফল মানসিক চাপ দূর করে

ড্রাগন ফলের আ্যন্টিঅক্সিডেন্ট গুনাগুন শরীরকে অক্সিডেটিভ সহ মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তা দূর করতে সাহায্য করে। যাদের মানসিক চাপ অনেক থাকে তারা নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে চাপ কমে যেতে পারে৷ এছাড়াও যাদের দীর্ঘস্থায়ী কোনো রোগ আছে সেই রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে ড্রাগন ফল।
  • হাইড্রেশন সাহায্য করে ড্রাগন ফল
  • ড্রাগন ফলে প্রচুর পানি থাকে। তাই হাইড্রেশন সাহায্য করে এই ফল।
  • ড্রাগন ফল ইমিউন সিষ্টেম বাড়ায়
  • ড্রাগন ফলে অনেক পুষ্টিকর উপাদান থাকে। যা খেলে শরীরের ইমিউনিটি বৃদ্ধি পায়। তাই যদি কেউ নিয়মিত ড্রাগন ফল খায় তাহলে সেই ব্যক্তির শরীর রোগের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে।

বয়সের ছাপ দূর করে

ড্রাগন ফল নিয়মিত খেলে ত্বক সুস্থ ও সুন্দর হয়। ত্বক কে উজ্বল করে, ত্বকের কালো দাগ দূর হয়, ফলে অনেক আকর্ষণীয় লাগে দেখতে। তাই যারা নিয়মিত ড্রাগন ফল খায় তাদের বয়সের তুলনায় দেখতে ছোট লাগে। ড্রাগন ফলে আ্যন্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান থাকার কারনে বয়স বৃদ্ধি হলেও ত্বক বুড়িয়ে যায় না।

চুল পড়া রোধ করে

যাদের চুল পরা সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত ড়্রাগন ফল খেতে পারেন। ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমান আয়রন থাকে যার কারনে যাদের চুল পরা সমস্যা রয়েছে তাদের চুল পরা রোধ হয়৷ মুলত আয়রনের ঘাটতির জন্য চুল পরা সমস্যা হয়।

ড্রাগন ফল কিডনিকে সুস্থ রাখতে সহায়ক

কিডনিতে জটিলতা হওয়ার অন্যতম কারন পটাশিয়াম ঘাটতি। অর্থাৎ শরীরে যখন পটাশিয়াম এর ঘাটতি দেখা দেয় তখন কিডনি তার স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। কিডনিকে সুস্থ রাখতে ড্রাগনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

কারন ড্রাগন ফলে রয়েছে পটাশিয়াম যার ফলে কিডনিকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। কিডনিতে পাথর হওয়া আরো একটি সমস্যা। নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। তাই আপনি যদি আপনার কিডনি সুস্থ রাখতে চান তাহলে নিয়মিত ড্রাগন ফল খান। আর যদি আপনি বা আপনার পরিচিত কেউ কিডনি জটিলতায় ভুগেন তাহলে খাদ্য তালিকায় ড্রাগন ফল রাখুন।

ফাইবার সমৃদ্ধ ও ফ্যাট ফ্রি

  • এই ফল ফাইবার সমৃদ্ধ ও ফ্যাট ফ্রি। ফলে নিশ্চিন্তে ডায়েট লিস্টে রাখতে পারেন ড্রাগন ফল।
  • বিটা-ক্যারোটিন সমৃদ্ধ
  • বিটা-ক্যারোটিন সমৃদ্ধফলটি নিয়মিত খেলে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে ও ছানি পড়ার ঝুঁকি কমে।
  • ওমেগা থ্রি ও ওমেগা নাইন ফ্যাটি অ্যাসিড
  • ড্রাগন ফলের ছোট কালো বীজে রয়েছে ওমেগা থ্রি ও ওমেগা নাইন ফ্যাটি অ্যাসিড। এগুলো হার্টের জন্য উপকারী।

ড্রাগন ফল খাওয়ার অপকারিতা

আমরা এতক্ষণ জেনে নিলাম ড্রাগন ফলের উপকারিতা গুলি কিন্তু ড্রাগন ফুলেরও কিছু অপকারিতা আছে সেগুলি সম্পর্কে আমাদের সচেতন থাকাই ভালো। ড্রাগন ফল যেমন অনেক উপকারী সেই সাথে এর রয়েছে কিছু ক্ষতিকর বা অপকারী বৈশিষ্ট্য। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক ড্রাগন ফলের কিছু অপকারী দিক।

ওষুধের সাথে মিথষ্ক্রিয়া

যারা নিয়মিত ওষুধ খান তারা ড্রাগন ফল খাওয়ার আগে চিকিৎসক এর কাছ থেকে পরামর্শ নিবেন। কারন ড্রাগন ফল অন্যান্য ওষুধের সাথে মিশে দেহের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
অ্যালার্জির সমস্যা

যাদের আ্যলার্জির সমস্যা রয়েছে ড্রাগন ফল খাওয়ার পরে আ্যলার্জি বেড়ে যেতে পারে। যার ফলে অতিরিক্ত চুলকানি হতে পারে, শরীর ফুলে যেতে পারে। তাই যাদের আ্যলার্জির সমস্যা রয়েছে তাদের ড্রাগন না খাওয়াই ভাল।

সীমিত প্রাপ্যতা

সব জায়গায় চাষ না হওয়ার কারনে অনেক সময় চাহিদা থাকার পরেও কিনতে পাওয়া যায়না। আর পাওয়া গেলেও তাজা ড্রাগন ফল তেমন পাওয়া যায়না।

ড্রাগন খেলে ডাইরিয়া হতে পারে

ড্রাগন ফল হজম শক্তি বাড়িয়ে দেয়। ড্রাগনে থাকা ফাইবার এর কারনে হজমে সমস্যা হতে পারে এবন সেখান থেকে ডাইরিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

ড্রাগন ফলের উচ্চ দাম

বিদেশী ফল হওয়ায় এবং সবখানে চাষ না হওয়ার কারনে ড্রাগনেদ দাম অনেক বেশি। যার কারনে সাধারন মানুষ কিনে খেতে পারেনা।

গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা

প্রকৃতপক্ষে, যে ফলটি সহজেই কোথাও পাওয়া যায় তা আপনার চাহিদা এবং গর্ভের ভ্রূণের জন্য পুষ্টিতে সমৃদ্ধ।এতে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ড্রাগন ফল হজমে সহায়তা করে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি, ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই ফল।

বর্তমানে বাংলাদেশে ড্রাগন ফ্রুটের চাহিদা বাড়ছে, তাই উৎপাদনও বাড়ছে। এই ফলটিকে দুই ভাগে কেটে, খুব সহজেই চামচ দিয়ে ভিতরের শাঁস খাওয়া যেতে পারে। তাছাড়া মিল্কশেক, কিংবা স্মুদি তৈরি করেও ড্রাগন ফ্রুট উপভোগ করা যেতে পারে। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক এই ফলের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে।

  • গর্ভবতী নারীর ক্ষেত্রে উপকারি এই ফল। এতে ভিটামিন বি, ফোলেট এবং আয়রন রয়েছে, তাই এটি গর্ভবতীদের জন্য আদর্শ ফল। ভিটামিন বি এবং ফোলেট নবজাতকের জন্মগত ত্রুটি রোধ করতে সহায়তা করে এবং গর্ভাবস্থায় শক্তি সরবরাহ করে। তাছাড়া এতে থাকা ক্যালসিয়াম ভ্রূণের হাড়ের বিকাশের জন্য অত্যন্ত উপকারি। এতে ম্যাগনেসিয়ামও রয়েছে, যা নারীদের পোস্টমেনোপজাল জটিলতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে।
  • হজমের জন্য ভালো এই ফল। এটি শরীরে ভালো ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে, যার ফলে হজম ক্ষমতাও ভালো হয়। তাছাড়া এটি ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায়, পরিপাকতন্ত্রকে ভালো রাখতে সহায়তা করে।
  • ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও কমায় ড্রাগন ফল। এটি ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায়, এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। এই ফলের নিয়মিত সেবন, রক্তে শর্করার ভারসাম্যতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
  • ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় এই ফল। এতে ক্যান্সার বিরোধী বৈশিষ্ট্য বর্তমান। এটি কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে অত্যন্ত সহায়ক। তাছাড়া এই ফল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, তাই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তুলতেও সহায়তা করে। এটি বিভিন্ন দীর্ঘস্থায়ী রোগ যেমন ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, অ্যালজাইমার এবং পারকিনসন এর মতো রোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।
  • হার্টের জন্য উপকারি ড্রাগন ফ্রুট। এর ক্ষুদ্র কালো বীজগুলি, ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৯ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। এগুলো হার্টের জন্য খুবই ভাল এবং কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ এর ঝুঁকি কমায়। তাই ড্রাগন ফল খাওয়া হার্টের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারি। এটি হার্ট ভালো রাখার পাশাপাশি, রক্তচাপ ও ওজন নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে।
  • হাড়ের জন্য ভালো ড্রাগন ফ্রুট। এর প্রায় ১৮ শতাংশ ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে, যা হাড়কে শক্তিশালী করে তোলে এবং হাড়ের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। ফলে জয়েন্টের ব্যথা, ফ্র্যাকচার কিংবা ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকিও অনেকটাই কমে যায়।

ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

ড্রাগন ফলে প্রচুর আঁশ থাকায় রক্তের চর্বি কমায়, হজমে সাহায্য করে, হৃৎপিণ্ডের সুস্বাস্থ্যের জন্য ভালো, কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূর করার পাশাপাশি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে।
  • লাইকোপেন থাকায় ক্যানসারপ্রতিরোধী হিসেবে কাজ করে।
  • ক্যারোটিন–সমৃদ্ধ হওয়ায় দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে।
  • ড্রাগনের মধ্যে থাকা প্রোটিন শরীরের যাবতীয় বিপাকীয় কাজে সহায়তা করে।
  • প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকায় হাড় শক্ত ও দাঁত মজবুত রাখে। নারীদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই ফল।
  • ড্রাগন ফলে থাকা পর্যাপ্ত ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। ত্বকের সতেজ ভাব ফিরিয়ে আনে। বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে। চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও ভূমিকা রাখে।
  • এ ছাড়া বেশি আয়রন থাকায় রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ায়; যা কিশোরী, অন্তঃসত্ত্বা, প্রসূতিদের জন্য প্রয়োজনীয়।
  • এতে প্রচুর প্রোটিন, ফাইবার ও জলীয় অংশ থাকায় ওজন কমায়।
  • হাইড্রেশন : ড্রাগন ফলে থাকা উচ্চ পরিমাণে পানি হাইড্রেশনে সাহায্য করে।
  • পাচক স্বাস্থ্য : ড্রাগন ফলে থাকা ফাইবার খাবার হজম করতে সাহায্য করে।
  • ইমিউন সাপোর্ট : এই ফলে থাকা ভিটামিন ‘সি’ ইমিউন-বুস্টিং করে, তথা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়।
  • হার্টের স্বাস্থ্য : এতে থাকা ফাইবার বা আঁশ এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট দেহের কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রেখে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
  • রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ : আঁশ এবং তুলনামূলকভাবে কম চিনির উপাদান রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করতে পারে।

ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা

ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা সম্পর্কে না জানার কারণে আপনারা ডাগন ফলের খোসা ফেলে দেন আশা করি এই তথ্যগুলো জানার পরে আপনারা ড্রাগন ফলের খোসা গুলো কাজে লাগাবেন কারণ ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা রয়েছে। আগে জেনে নিন কিভাবে প্রস্তুত করতে হয় তা কোন ফল খোসাটি তারপর এর বিস্তারিত আলোচনা করতেছি, প্রথমে আপনাকে দুইটি বা একটি ড্রাগন ফলের খোসা সংগ্রহ করতে হবে এরপর খোসা গুলো ভালভাবে ধুয়ে নিতে হবে।

ধুয়ে নেওয়া ড্রাগন ফলের খোসা সুন্দর করে ছোট ছোট কুচি কুচি করে কেটে নিতে হবে এরপর এর সঙ্গে আড়াইশো গ্রাম পানি নিতে হবে যা ফুটন্ত পানি হতে হবে। একটি পাত্রে আড়াইশো গ্রাম পরিমাণ পানি দিয়ে সে পানি ফুটাতে হবে যখন পানি ফুটে আসবে ওই সময় ড্রাগন ফলের খোসা গুলো পানিতে দিয়ে দিতে হবে। পানি এমনভাবে জাল করতে হবে তা যেন লো প্রেসারে থাকে। এরপর ড্রাগন ফলের খোসা সহ পানি জ্বাল করতে হবে সাত মিনিটের উপরে।

চাইলে আপনি থেকে দিতে পারেন যার ফলে ডাগন ফলের খোসা গুলোর উপকারিতা সব পানির সঙ্গে মিশ্রণ হয়ে যাবে। সাত মিনিট খোসাসহ জাল করার পর আপনি দেখতে পারবেন পানি লালবর্ণ আকার ধারণ করেছেন দেখবেন অনেক সুন্দর লাগতেছে ওই সময় আপনি খোসা একপাশে রেখে পানিটুকু একটি গ্লাসে ঢেলে নিবেন।

ঢেলে নেওয়া পানি আপনারা দেখতে পারবেন জুস এর মত লাগছে আসলে এটি আপনাদেরও খেতে হবে, মূলত এটি খুবই সুন্দর আকার ধারণ করবে লালবর্ণ যা খেতে ভালই খেতে পারবেন সমস্যা নাই। আপনারা এই জুস এর মধ্য টেস্ট আনার জন্য এর সঙ্গে হিমালয় লবণ যুক্ত করতে পারেন অথবা সাধারণ লবণ যুক্ত করতে পারেন।এরপর আপনারা সেই জুসের সঙ্গে একটি লেবু অর্ধেক করে কেটে নিবেন অর্ধেক লেবুর সেই আড়াইশো গ্রাম জুসের সঙ্গে মিশ্রন করে নিবেন।

এখন বলে দিচ্ছে এটি আপনারা কি কারনে খাবেন ড্রাগন খোসা আপনার দুটি কারণে খেতে পারেন একটি হচ্ছে অতিরিক্ত মেদ বা ভুঁড়ি বা ওজন। আপনার যদি ঐ জন্য সমস্যা থাকে তাহলে আপনারা এটি খাবেন। আপনার যদি ডায়াবেটিস এর কোন সমস্যা থাকে তাহলে আপনি খাবেন, আপনি হূদরোগ কোন সমস্যা থাকে তাহলে আপনি এটি সেবন করতে পারেন যার ফলে অত্যধিক উপকার পাবেন। আপনারা একজনের সঙ্গে চেনি মিশ্রন করতে পারবেন না অবশ্য।

এই জুস খাওয়ার পর আপনারা দেখতে পারবেন 7 দিনের মধ্যে আপনাদের ওজন কিভাবে ধীরে ধীরে কমতেছে এটি দেখে আপনারা অবাক হয়ে যাবেন।এবং কি আপনি দেখতে পারেন আপনার ডায়াবেটিসের সমস্যা ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে এবং হার্টের সমস্যা থাকলে তা খুব স্বাভাবিকভাবে ধীরে ধীরে সমস্যা দূর হচ্ছে এবং কি আপনার অনেক ভালো লাগবে।
এছাড়া আরেকটি কাজে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এটি তা হচ্ছে এটি আপনার মুখের উজ্জলতা ফিরিয়ে আনবে আমি বলছিনা আপনার মুখের উজ্জলতা অনেক বেশি আনবে তবে প্রচুর থেকে একটু আলাদা ভাবে অন্যতম কার্যকরী। এটি নিয়মিত ৭ দিন খান তাহলে এতে আপনার চুল পড়া রোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবেন আপনি কি খেতে পারেন যার ফলে আপনার চুল পড়া রোধে খুবই কার্যকর ভূমিকা পালন করবে আশা করা যায়।

ড্রাগন ফল খেলে কি পায়খানা লাল হয়

না, ড্রাগন ফল খেলে পায়খানা কালো বা লাল হয় না। ড্রাগন ফলের রঙ সাদা, গোলাপী বা লাল হতে পারে, তবে এটিতে কোনও রঞ্জক পদার্থ থাকে না যা পায়খানার রঙ পরিবর্তন করতে পারে।
ড্রাগন ফল খেলে পায়খানা কালো বা লাল হওয়ার দুটি সম্ভাব্য কারণ রয়েছে।যেমনঃ

রক্তপাত

যদি আপনি আপনার পায়খানায় রক্ত ​​দেখেন, তাহলে এটি একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। আপনার অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

রঞ্জক পদার্থ

আপনি যদি এমন কোনও খাবার বা পানীয় খেয়ে থাকেন যাতে রঞ্জক পদার্থ থাকে, তাহলে এটি আপনার পায়খানার রঙ পরিবর্তন করতে পারে। ড্রাগন ফল একটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর ফল। এটিতে ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবার রয়েছে। ড্রাগন ফল খেলে আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতি হতে পারে।

লাল ড্রাগন ফল এর উপকারিতা

লাল ড্রাগন ফলের উপকারিতা জানার জন্য যদি আপনি এই পোস্টটি পড়ে থাকেন তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আপনি এখান থেকে জানতে পারবেন লাল ড্রাগন ফলের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত। তাহলে চলুন সময় নষ্ট না করে জেনে নেওয়া যাক লালটা এখন ফলের উপকারিতা গুলো কি কি।
  • অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ
  • ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়
  • ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
  • হজমে সাহায্য করে
  • হার্টের সুস্থতায় ড্রাগন ফল
  • ড্রাগন ফল ওজন হ্রাসে সাহায্য করে
  • ড্রাগন ফল হাড় মজবুত করে
  • ব্রনের সমস্যায় ড্রাগন

ড্রাগন ফলের দাম

প্রিয় পাঠক আমরা মূলত একদম শেষ অংশে চলে এসেছি। আমরা এখানে আলোচনা করতে চলেছি ড্রাগন ফলের দাম সম্পর্কে। আমরা এখানে আপনাদের সাথে একেবারে নির্দিষ্ট ভাবে ড্রাগন ফলের দাম বলতে পারব না। কারণ এইটার দাম প্রতিনিয়ত কম বেশি হয়ে থাকে। প্রতিনিয়ত নিত্য নতুন দাম পাওয়ার জন্য আপনার google এ সার্চ দেওয়ার তাই গুরুত্বপূর্ণ বলে আমরা মনে করছি। তবে ধারণা করা যাচ্ছে সর্বনিম্ন ৬০০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০০ ও ১২০০ টাকা পর্যন্ত কেজি ড্রাগন ফল পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। তবে কেনার আগে অবশ্যই ফ্রেশ ড্রাগন ফল কেনার চেষ্টা করবেন।

ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক সময় - ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - শেষ মন্তব্য

ড্রাগন ফল পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ একটি ফল। নানা রকম ভিটামন, আয়রন ক্যালসিয়াম থাকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সক্ষম। প্রতিদিনের খাবারে ফল হিসেবে ড্রাগন যোগ করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। এই টুকটুকে ফলটি দেখতে যেমন সুন্দর, এর বিস্ময়কর উপকারীতার জন্য যেমন সবাই বিস্মিত হয়। শুধু উপকার যেমন করে পাশাপাশি এই ফলের রয়েছে কিছু অপকারো । তাই আপনি যদি নিয়মিত ওষুধ খান ড্রাগন ফল খাওয়ার আগে চিকিৎসক এর পরামর্শ নিয়ে খাওয়া উচিৎ।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url